আপনার স্ত্রীর নাম 'সীমা'। যেহেতু আপনার স্ত্রীকে এই নামে ডাকলে 'মা' শব্দটি বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হয়ে থাকে, সেহেতু যেকোনো ধরণের বিব্রতকর পরিস্থিতি দূর করতে আপনি আপনার স্ত্রীর ডাক নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার স্ত্রীকে আদর করে 'শিমু' নামে ডাকতে পারেন। কাগজ-কলমে আসল নাম সীমাই থাকবে। আর আপনার স্ত্রীর যদি 'সীমা' ব্যতীত অন্য কোনো নাম থেকে থাকে, তাহলে সে নামেও ডাকতে পারেন। ধন্যবাদ।
আপনার স্ত্রীর নাম সীমা। সীমা নামে (মা) উচ্চারণ হওয়ার কারণে যিনি বলল স্ত্রীর নাম অন্য নামে ডাকতে এটা ঠিক নয়। ফাতিমা ছিল নবিজীর কন্যা। আলী (রাঃ) এর স্ত্রী তারা কি কন্যা/স্ত্রীর নামে ডাকেন নি? এটা সত্যি নয় যে এইরকম নাম উচ্চারণ করলে গুনাহ হবে। তবে মন চাইলে অন্য নামে ডাকতে পারেন। তবে প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি স্ত্রীকে বলে ‘তুমি আমার মায়ের পিঠের মত’ বা ‘তুমি আমার মা’ ইত্যাদি বলে একে যিহার বলে। এমন বলা বা করা হারাম। বললে কাফফারা ওয়াজেব। আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের স্ত্রীগণের সাথে যিহার করে তারা জেনে রাখুক, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। যারা তাদেরকে ভূমিষ্ঠ করে কেবল তারাই তাদের মাতা, ওরা তো ঘৃণ্য ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ পাপমোচনকারী ও ক্ষমাশীল। যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ‘যিহার’ করে এবং পরে তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাহলে (এর প্রায়শ্চিত্ত) একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসের মুক্তিদান। এর দ্বারা তোমাদেরকে সদুপদেশ দেওয়া হচ্ছে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন। কিন্তু যার এ সামর্থ্য থাকবে না, একে অন্যকে স্পর্শ করার আগে তাকে একাদিক্রমে দু’মাস সিয়াম পালন করতে হবে; যে তাতেও অসমর্থ, সে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াবে; এটা এ জন্যে যে, তোমারা যেন আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আন। আর এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত বিধান; আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (আল-মুজাদালাহ ৫৮: ২-৪)। অর্থাৎ যিহাবের কাফফারা এই যে, একজন দাস অথবা দাসীকে মুক্ত করবে। এরূপ করতে সক্ষম না হলে একাদিক্ৰমে দুই মাস রোযা রাখবে। রোগ-ব্যাধি কিংবা দুর্বলতাবশতঃ এতগুলো রোযা রাখতেও সক্ষম না হলে ষাট জন মিসকীনকে পেট ভরে আহার করাবে। [ফাতহুল কাদীর]