শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যা পান করার যোগ্য, তাই পানীয়। এটা যেকোনো কিছু হতে পারে। আর পানি (H2O) নির্দিষ্ট একটা যৌগ। এটাই পার্থক্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পানি হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ H2O আর পানীয় হচ্ছে তরল পান যোগ্য  পানি সংক্রান্ত খাবার। এটি যৌগিক না হয়ে মিশ্র পদার্থ হয়। পানির উৎস প্রকৃতি কিন্তু পানীয় প্রকৃতি বা কৃত্রিম বা উদ্ভিদজাতও হতে পারে। যেমন নারকেলের পানি, কোক বা পেপসি জাতীয় সবকিছু

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  • পানিঃ দুটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেন পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক যৌগকে পানি বলে।
  • পানি হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ, যার রাসায়নিক সংকেত হলো H2O। পানির একেকটি অণু একটি অক্সিজেন পরমাণু এবং দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সমযোজী বন্ধনে গঠিত।
  • রাসায়নিক যৌগের নামকরণ প্রক্রিয়া অনুসারে পানির বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো dihydrogen monoxide (ডাইহাইড্রোজেন মোনক্সাইড)। কিন্তু এই নামটি প্রায় কোথাও ব্যবহৃত হয় না।
  • সাধারণত পৃথিবীতে পানি তরল অবস্থায় থাকলেও এটি কঠিন (বরফ) এবং বায়বীয় (বাষ্প) অবস্থাতেও পাওয়া যায়। পৃথিবীতে তরল স্ফটিক রূপেও পানির অস্তিত্ব দেখা যায়। পদার্থের তিনটি অবস্থাতেই পৃথিবীতে পানির অস্তিত্ব বিদ্যমান। বাষ্প ও মেঘ হিসেবে আকাশে, সমুদ্রের পানি হিসেবে মহাসাগরে, হিমশৈল হিসেবে মেরু অঞ্চলের মহাসাগরে, হিমবাহ ও নদী হিসেবে পর্বতে এবং ভূগর্ভে পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
  • ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে এবং পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জীবের জীবনধারণের জন্যই পানি একটি অত্যাবশ্যক পদার্থ। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে, ১.৭% ভূগর্ভে, ১.৭% হিমশৈল ও তুষার হিসেবে, একটি ক্ষুদ্র অংশ অন্যান্য বড় জলাশয়ে এবং ০.০০১% বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত মেঘ ও বাষ্প হিসেবে এবং বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ইত্যাদিরূপে।
  • শব্দগত ব্যুৎপত্তিঃ পানীয় (সংস্কৃত ধাতু √ পা + অনীয়) শব্দটির সামান্য পরিবর্তিত হয়ে "পানি" শব্দ তৈরি হয়েছে। এই শব্দটি বাংলায় মূলত মুসলিমরা ব্যবহার করে থাকে, হিন্দুরা একে বলে জল, ইংরেজিতে একে ওয়াটার বলে। সমোচ্চারিত পাণি, যার অর্থ হলো হাত, এটি সংস্কৃত ধাতু √ পণ্ + ই = পাণি থেকে এসেছে। অপরদিকে "পানি" শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ধাতু √ পানি্ + অ = পানি থেকে।
  • পানীয়ঃ তরল সমৃদ্ধ মানুষের ভোগপণ্যসমূহকে পানীয় বলে। অন‍্যভাবে বললে, মানবজাতি ব্যবহৃত প্রাকৃতিক বা বিশেষভাবে তৈরিকৃত তরল ভোগপণ্যকে পানীয় বলে। অথবা, পান করার যোগ‍্য এমন সব তরল পদার্থকে পানীয় বলে। সন্তোষজনক তৃষ্ণার মৌলিক চাহিদা পূরণে পানীয় অত‍্যন্ত প্রয়োজনীয়। "পানি" বিশ্বের প্রথম পরিবেশিত পানীয়। "দুধ" বিশ্বের দ্বিতীয় পরিবেশিত পানীয়। "চা" বিশ্বের তৃতীয় পরিবেশিত পানীয়।
  • 'পানীয়' এর উদাহরণঃ
  1. পানি।
  2. দুধ।
  3. চা।
  4. কফি।
  5. মধু।
  6. শরবত।
  7. ফলের রস/জুস।
  8. ডাব/নারকেলের পানি।
  • 'পানি' এবং 'পানীয়' এর মধ্যে পার্থক‍্যঃ
  1. পানযোগ্য বা পান করা হয় এমন সকল তরলকে 'পানীয়' বলে। কিন্তু শুধুমাত্র 'জল' নামক তরল পানীয়কে 'পানি' বলে।
  2. 'পানি' হচ্ছে 'পানীয়' এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ মাত্র। অর্থাৎ 'পানি' হলো একটি বিশেষ পানীয়, কিন্তু সকল পানীয়কে পানি বলা যায় না। একেকটি 'পানীয়' এর একেকটি আলাদা নাম থাকে। যেমনঃ পানি, দুধ, চা, কফি, মধু, শরবত, ফলের রস/জুস, ডাব/নারকেলের পানি ইত্যাদি একেকটি আলাদা 'পানীয়' এর নাম।
  3. তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, সকল পানীয় এর মধ‍্যে পানি নামক তরলটি বিদ‍্যমান রয়েছে। অর্থাৎ 'পানি' নামক পানীয়টির সাহায্যে অন‍্যসব পানীয় তৈরি হয়।
  4. 'পানীয়' এর মধ‍্যে 'পানি' একটি প্রাকৃতিক পানীয়, অন‍্যসব পানীয় কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক হতে পারে।
  5. 'পানীয়' থেকেই 'পানি' শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, কিন্তু 'পানি' থেকে পানীয় শব্দের উৎপত্তি হয়নি।
  6. 'পানীয়' এর মধ্যে 'পানি' একটি তরল যৌগিক পদার্থ। অন‍্যসব 'পানীয়' তরল মিশ্র পদার্থ।
  7. 'পানি' নামক পানীয়টি 'পানীয়' নামক শব্দ থেকে সৃষ্টি হলেও অন‍্যসব পানীয় কিন্তু 'পানীয়' নামক শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়নি। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ