কোন পাখির বা কবুতরের পায়খানা কাপড় চোপড়ে লাগলে কি সেই কাপড় কি অপবিত্র এবং সেই কাপড় পরিধান করলে কি শরীর নাপাক হয়ে যায়???এবং সেই কাপড়ের যে স্হানে পায়খানা লেগেছে সেই জায়গাটি ধুয়ে দিলে হবে?? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কিছু পাখি আছে যেগুলো খাওয়া হালাল,আর কিছু পাখি আছে যেগুলো খাওয়া হালাল নয়।উভয় প্রকারের মলের হুকুম নিচে বর্ণনা করা হলো। যেসব পাখি খাওয়া হালাল নয়,চাই তা হিংস্র হোক বা না হোক যেমন,বাজ পাখি, শকুন ইত্যাদি এসব পাখির মল নাজাসাতে খফিফা তথা হালকা নাপাক। হুকুমঃ উল্লেখিত নাপাকি যদি কাপড় বা শরীরের কোন অংশে লাগে ( যেমন,আস্তিন, আঁচল,কল্লি )তাহলে সেই অংশের চার ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম পরিমাণ লেগে গেলে সেই অংশ নাপাক হবে এবং ধুতে হবে।তবে তা না ধুয়ে নামাজ আদায় করা যাবে। কারণ, এতটুকু নাপাক মাফ। আর চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লেগে গেলে তা না ধুয়ে বা পবিত্র না করে নামাজ আদায় করা যাবেনা।বরং তা ধুতে হবে বা পবিত্র করতে হবে। আর যেসব পাখি খাওয়া হালাল সেগুলোর মল পাক।তবে গৃহপালিত হলে তার মল নাপাক (যেমন,হাঁস,মুরগী ) অর্থাৎ ধুতে হবে বা পবিত্র করতে হবে ।এটাকে নাজাসাতে গলিজা বলে।তবে এক দিরহাম পরিমাণ লেগে গেলে তা সহ নামাজ আদায় করা যাবে।এর চেয়ে বেশি লেগে গেলে তা না ধুয়ে বা পবিত্র না করে নামাজ আদায় করা যাবেনা। তথ্যসূত্রঃ শরহুল বেকায়া ১/১২৪ কানযুদ দাকায়িক পৃঃ ১৬

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ