ইসলামী পরিভাষা অনুযায়ী, কুরআনের অলৌকিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে -এই বিশ্বাসকে ইজায বলা হয়। আল কুরআন একটি ঐশি গ্রন্থ যা কোনো মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়।
কুরআন তেলাওয়াত করার বিধান হচ্ছে মুস্তাহাব। যা তারতিলের সঙ্গে তেলাওয়াত করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর কুরআন তিলাওয়াত করুন ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে। (মুজ্জামিলঃ ৪) এখানে বলা হয়েছে যে, তারতীল সহকারে পড়তে হবে। তারতীল বলে উদ্দেশ্য হলো ধীরে ধীরে সঠিকভাবে বাক্য উচ্চারণ করা। কুরআন তেলাওয়াত ও কুরআন খতম করার অনেক তাগিদ রয়েছে। এতো তাগিদ ও এত গুরুত্বের পরেও সেটা মুস্তাহাব পর্যায়ে। এটি জরুরী ফরজ পর্যায়ে নয়; যেটা না করলে কোন মুসলমান গুনাহগার হবেন। মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম। মুস্তাহাব কাজ করলে সওয়াব ও আল্লাহর দরবারে পুরস্কার আছে। কোরআন বিশুদ্ধভাবে শেখা ও শেখানোকে উত্তমতার কুষ্ঠিপাথরে বিবেচনা করা হয়েছে। সাহাবী হজরত উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাব) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। তাছাড়া নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো কোরআন তেলাওয়াত।