শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

হাদীস ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ إنه أمر بإحفاء الشوارب وإعفاء اللحية -সহীহ মুসলিম ১/১২৯ বিভিন্ন হাদীসে আদেশের শব্দগুলোও বর্ণিত হয়েছে। যেমন- خالفوا المشركين، وفروا اللحى واحفوا الشوارب ‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি বাড়াও ও মোচ কাট।’ (আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫) خالفوا المشركين، واحفوا الشوارب وأوفوا اللحى ‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং মোচ কাট ও দাড়ি পূর্ণ কর।’ (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯) انهكوا الشوارب واعفوا اللحى  মোচ উত্তমরূপে কাট এবং দাড়ি লম্বা কর। (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫) جزوا الشوارب وارخوا ا للحى، خالفوا المجوس মোচ কাট ও দাড়ি ঝুলিয়ে দাও, অগ্নিপূজারীদের বিরোধিতা কর।’ (আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯) উপরের হাদীসগুলোতে চারটি শব্দ পাওয়া গেল : ارخوا ـ اعفوا ـ أوفوا ـ وفروا এই সবগুলো শব্দ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লম্বা ও পূর্ণ দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। সুতরাং এভাবেই দাড়ি রাখা ওয়াজিব। অতএব যে ব্যাক্তি দাড়ি রাখবে না সে ওয়াজিব তরককারী  হিসাবে শাস্তির উপযোগী হবে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

কেউ দাড়ি না রাখলে তিনি গুনাহগার হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আমাদের সমাজে প্রচলন আছে যে দাড়ি রাখাটা সুন্নত। নবী (সা.) রেখেছেন এ কারণে সুন্নত হতে পারে, কিন্তু দাড়ি রাখা তো নির্দেশনামূলক। নির্দেশনা আসার কারণে এটি ওয়াজিব হয়ে গেছে।সমস্ত ওলামায়ে কেরামের মতে, দাড়ি রাখাকে শায়ার (ইসলামের নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটা) বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাইখুল ইসলাম তাইয়ুমা (রহ.), এর আগে আবু মোহাম্মদ এরা সবাই এবং সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণ এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেছেন যে, দাড়ি রাখার বিধান হচ্ছে ইসলামে ওয়াজিব এবং বাধ্যতামূলক।

আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে। সুন্নাহ তিরমিজি, সুন্নাহ আবু দাউদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‍‘ওয়ারখুল্লাহা’ অর্থাৎ তোমরা দাড়িকে ছেড়ে দাও।

কোনো কোনো রেওয়াতের মধ্যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ওয়ারখুল্লাহা’ অর্থাৎ ‘দাড়িকে তোমরা ছেড়ে দাও’।

এভাবে বিভিন্ন শব্দে রাসুল (সা.) এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

রাসুল (সা.) নিজে দাড়ি রেখেছেন, সাহাবিরা দাড়ি রেখেছেন এবং অপছন্দ করেছেন তাদের, যারা দাড়ি রাখেননি। এ জন্য দাড়ি রাখার বিষয়টি ইসলামের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে আমরা আসলে বিভিন্ন কারণে সাধারণ বা হালকা মনে করে নিয়েছি।

মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের যে ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য, সেগুলো আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি এবং অমুসলিমদের সঙ্গে সেগুলোকে আমরা মিলিয়ে ফেলছি। বিশেষ করে দাড়ি কামানোর দৃষ্টিভঙ্গিটি।

সুতরাং-ওয়াজিব প্রায় ফরজের কাছাকাছি। ত্যাগ করা বা ইচ্ছা করে আমল না করা বিরাট গুনাহ্। দাঁড়ি রাখার ফলে বিভিন্ন ফিতনায় অংশগ্রহণ থেকে মুসলিম বান্দা বঞ্চিত হবে, ভাবীদের আসরে যাওয়াও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে, বিভিন্ন ধরনের অহেতুক আড্ডা বন্ধ হয়ে পরশ্রীকাতরতার ন্যায় বিশ্রী পাপ একদিন বন্ধ হয়ে যাবে, তৈরী হবে আমলের শখ। নিজের পরিবারের সাথে মহব্বত বাড়বে, সংসারে সুখ আসবে। তাই, প্রতিটি স্ত্রীর তার স্বামীকে দাঁড়ি রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। বারংবার চামড়ার উপর ধারালো ক্ষুর-ব্লেড ব্যবহার করলে ঐ ত্বক খসখসে অমসৃন হয়ে যায়। আর তাই, একজন দাঁড়িওয়ালার আগেই ক্লিন সেইভড ব্যক্তির ত্বক নষ্ট হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই।

অপরদিকে, বর্তমান চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে, এটা চোখের জ্যেতিও কমিয়ে দেয়। আবার, মুখের লাবন্যতাও একসময় আর থাকে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ