শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

শুধু মা-বাবা নয়, যে কোন ব্যাক্তি অন্যের ঘরে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا  عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। —সূরা নুর, আয়াত নং ২৭

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোন মুসলিমের জন্য অপরের গৃহে বিনা অনুমতিতে সরাসরি প্রবেশ করা বৈধ নয়। যেহেতু আপনি জানেন না যে, বাড়ির ভিতরের লোক কোন্ অবস্থায় আছে। গৃহের ভিতর হয়তো আগোছাল ও অপরিচ্ছন্ন আছে। যা দেখে হয়তো আপনার মনে সেই গৃহ ও গৃহবাসীদের প্রতি ঘৃণার দানা বাঁধবে। হয়তো বা আপনার দৃষ্টি এমন জায়গায় পড়বে, যা আপনার জন্য দেখা বৈধ নয় অথবা গৃহবাসী আপনাকে দেখাতে রাযী নয়। আর তার ফলে তাদের মনেও আপনার প্রতি ঘৃণার অঙ্কুর উদ্গত হবে। এই জন্যই মহান আল্লাহর বিধান হল, পরগৃহে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি গ্রহণ ফরয এবং বিনা অনুমতিতে পরকীয় গৃহে প্রবেশ নিষেধ। মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারো গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না। এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা সতর্ক হও। যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও তাহলে তোমাদেরকে যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না দেওয়া হয় ততক্ষণ ওতে প্রবেশ করবে না। আবার যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’ তবে তোমরা ফিরে যাবে। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। (সূরা নূরঃ ২৪:২৭-২৮) এ আয়াতে অন্য কারো গৃহে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নেয়ার বিধান আলোকপাত করা হয়েছে। অন্য কারো গৃহে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নেয়ার বিধানে প্রতিটি ইমানদার নারী, পুরুষ, মাহরাম ও গায়র-মাহরাম সবাই শামিল রয়েছে। ইমাম মালেক মুয়াত্তা গ্রন্থে আতা ইবনে ইয়াসার থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলঃ আমি আমার মায়ের কাছে যাওয়ার সময়ও অনুমতি চাইব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, অনুমতি চাও। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমি তো আমার মায়ের ঘরেই বসবাস করি। তিনি বললেনঃ তবুও অনুমতি না নিয়ে ঘরে যাবে না। লোকটি আবার বললঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমি তো সর্বদা তার কাছেই থাকি। তিনি বললেনঃ তবুও অনুমতি না নিয়ে ঘরে যাবে না। তুমি কি তোমার মাকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখা পছন্দ কর? সে বললঃ না। তিনি বললেনঃ তাই অনুমতি চাওয়া আবশ্যক । (মুয়াত্তা ইমাম মালেকঃ ১৭২৯) ঘরে কেবল বাবা মা-বোন থাকলেও ঘরে প্রবেশ হওয়ার পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। কারণ ঘরের ভিতর তারা এমন অবস্থায় থাকতে পারে, যে অবস্থায় আপনি তাদেরকে দেখতে পছন্দ করেন না। ঘরে কেবল স্ত্রী থাকলেও ঘরে প্রবেশ হওয়ার পূর্বে অনুমতি নিন। কারণ ঘরের ভিতর সে এমন অবস্থায় থাকতে পারে, যে অবস্থায় আপনি তাকে দেখতে অপছন্দ করেন। নাবালক শিশু অথবা ক্রীতদাসের জন্যও তিন সময়ে অনুমতি নেওয়া জরুরী। এ ব্যাপারে কুরআন কারীমে স্পষ্ট বিবৃতি এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীগণ এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিনটি সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বস্ত্র শিথিল কর তখন এবং এশার নামাযের পর, এ তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়। (যেহেতু তারা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে তাদের নজর তোমাদের এমন অঙ্গে পড়তে পারে, যেখানে নজর দেওয়া অনুচিত।) তবে এ তিন সময় ব্যতীত অন্য সময়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে তোমাদের জন্য এবং তাদের জন্য কোন দোষ নেই। তোমাদের এককে অপরের নিকট তো সর্বদা যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের নিকট তাঁর নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। আর তোমাদের সন্তান-সন্ততি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন তাদের বয়োজ্যেদের মত (সর্বদা) অনুমতি প্রার্থনা করে। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াত সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। (সূরা নূরঃ ২৪:৫৮-৫৯)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ