কেউ পাপ করলে আল্লাহ তায়া’লা তাকে সাথে সাথে শাস্তি দেন না। বরং আল্লাহ তাকে মৃত্যু পর্যন্ত  সুযোগ দেন যেন সে তাওবা করতে পারে। কেউ যদি মৃত্যুর আগমূহুর্তেও তাওবা করে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এজন্য কেউ পাপ করলে দুনিয়াতে আল্লাহ তাকে সাথে সাথে শাস্তি দেন না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

দুনিয়াতে না হলে কবরে হাশরে শাস্তি হবেয়    

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোনো কোনো পাপের শাস্তি পার্থিব জীবনেই দেওয়া হয়। পরকালের অনন্ত-অসীম জীবনে শাস্তি পাওয়ার আগে দুনিয়ার জীবনেও পাপীদের নিজ পাপের শাস্তি পেতে হয়। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, (আখিরাতের) গুরু শাস্তির আগে (দুনিয়ায়ও) তাদের আমি লঘু শাস্তি আস্বাদন করাব, যাতে তারা (প্রভুর দিকে) ফিরে আসে। (সুরা সাজদাঃ ২১) ছোট, লঘু বা নিকটতম শাস্তি) বলে ইহলৌকিক শাস্তি বা বিপদাপদ ও রোগ-ব্যাধিকে বুঝানো হয়েছে। অনেকের নিকট এর অর্থ হল, বদর যুদ্ধে কাফেররা হত্যার মাধ্যমে যে কষ্ট পেয়েছিল সেই শাস্তি। এ দুনিয়ায় মানুষ যেসব কষ্ট পায় সেগুলো। যেমন, ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন রোগ, নিজের প্রিয়তম লোকদের মৃত্যু, ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মারাত্মক ক্ষতি, ব্যর্থতা ইত্যাদি। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে, তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। (সুরা শুরাঃ ৩০) অতঃএব পৃথিবীতে যত বালা-মসিবত ও আপদ-বিপদ আসে তার সকল কিছুই হয় মানুষের নিজ কৃতকর্মের জন্য, আর অধিকাংশ অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন, সেগুলোর জন্য বিপদ-আপদ দেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কাজ-কর্মের দরুণ পাকড়াও করতেন তবে দুনিয়ার বুকে একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদেরকে এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। অতঃপর যখন এসে পড়বে তাদের সেই নির্দিষ্ট সময়, (তখন তিনি তাদের কর্মের প্রতিফল দেবেন) আল্লাহ তো তার বান্দাদের (বিষয়ে) সর্বদ্রষ্টা। (সূরা ফা-ত্বিরঃ ৪৫) হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ঐ সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, মুমিনের ওপর যে কষ্ট, বিপদ-আপদ, দুশ্চিন্তা আপতিত হয় সে কারণে তার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয় এমনকি একটি কাঁটা ফুটলেও। (সহীহ বুখারীঃ ৫৬৪১, সহীহ মুসলিমঃ ২৫৭৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দুনিয়াতে তোমাদের ওপর যত অসুস্থতা, শাস্তি ও আপদ-বিপদ এসে থাকে তা তোমাদের হাতের অর্জন। আখিরাতে দ্বিতীয়বার সে অপরাধের শাস্তি দিতে আল্লাহ তাআলা লজ্জাবোধ করেন। দুনিয়াতে যা ক্ষমা করে দেন তাতে পুনরায় ফিরে আসা থেকে আল্লাহ তাআলা অধিক সম্মানিত। (মুসনাদ আহমাদঃ ৬৪৯,) উদাহরণ হিসাবে বলা যায় জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হলে এর শাস্তি দুনিয়াতেই দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ব্যভিচারিণীও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশ’টি করে বেত্রাঘাত কর। আর যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক তবে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে পেয়ে না বসে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (সূরা আন-নূর, আয়াতঃ ২) অথবা সমকামিতা বা মহিলার পায়ুপথে সংগম করাঃ সমকামী জাতির ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছিল। আল্লাহ বলেন, অতঃপর যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি জনপদের ওপরকে নীচে উল্টে দিলাম এবং ক্রমাগত পোড়ামাটির পাথর বর্ষণ করলাম, যা চিহ্নিত ছিল তোমার রবের কাছে। আর তা জালিমদের থেকে দূরে নয়। (সূরা হুদ, আয়াতঃ ৮২-৮৩) সুতরাং মানব জাতির পাপ কার্যের কারণেই জমিনে ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি বিপদ-আপদ ঘটে থাকে। অতএব আমাদের সকল পাপকাজ বর্জন করে আল্লাহ তাআলা মুখী হওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সকল পাপের দুনিয়াবি শাস্তি হলো অন্তরের অসুস্থতা।    

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ