শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কসর বলতে সালাত ছোট করা কে বোঝায়। ইসলামের আহকাম বা ধর্মীয় বিধিবিধান ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছেন মহান আল্লাহ। সম্ভবত সফরের সময় মানুষের পরিশ্রম ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে নামাজ কসর ও রোজা ভাঙার সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সফরের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বিঘ্ন ঘটে এবং এ বিপত্তির বিষয়টি মানুষ মেনে নিয়েছে। অর্থাত মানুষ জানে, সফরে গেলে তার প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম ইত্যাদির রুটিনে বিঘ্ন ঘটবে। অবশ্য এখন সফরের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। তারপরও ঘরের পরিবেশ আর সফরের পরিবেশ এক হয় না। কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে তার এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়- (জাওয়াহিরুল ফিক্বহ ১/৪৩৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/১০৫) সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা পেরুলে সফরের বিধান শুরু হয়। শহরের ক্ষেত্রে ওই শহরের করপোরেশনের নির্ধারিত সীমানা থেকে সফরের সীমা নির্ধারিত হবে। অনুরূপ সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গেই তার সফরের বিধান শেষ হয়ে যাবে- (রদ্দুল মুহতার ২/১২৮) সফরকারীর জন্য শরিয়তের বিধি-বিধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে, যথা চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করবে, সফরে রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে কাজা করলেও চলবে। অনুরূপ মোজায় মাসাহ করা ইত্যাদি বিধানে সাধারণ অবস্থা থেকে ভিন্নতা রয়েছে। মুসাফির ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সফর অবস্থায় চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত পূর্ণ করে নেয়, তাহলে যদি সে প্রথম বৈঠক করে থাকে, তাহলে সেজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে, আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে তাহলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১) কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে- (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ