কোন নবীর উম্মতগণ সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে? এবং কোন নবীর উম্মতণ সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশ করবে? কোরআন হাদিসের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

সর্ব প্রথম জান্নাতে কে প্রবেশ করবেন এবং কোন নবীর উম্মত প্রবেশ করবেন এটা স্পষ্ট এসম্পর্কে হাদিসে এসেছে৷ 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏‏ آتِي بَابَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَسْتَفْتِحُ فَيَقُولُ الْخَازِنُ مَنْ أَنْتَ فَأَقُولُ مُحَمَّدٌ ‏.‏ فَيَقُولُ بِكَ أُمِرْتُ لاَ أَفْتَحُ لأَحَدٍ قَبْلَكَ

আনাস ইবনু মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কিয়ামত দিবসে আমি জান্নাতের গেইটে এসে দরজা খোলার অনুমতি চাইব। তখন খাজাঞ্চি বলবেন, আপনি কে? আমি উত্তর করব, মুহাম্মাদ। খাজাঞ্চি বলবেন, “আপনার জন্যই দরজা খুলতে আমি নির্দেশিত হয়েছি। আপনার পূর্বে অন্য কারোর জন্য দরজা খুলব না।    (সহীহ মুসলিম,হাদিস নং-৩৮২,ইসলামিক ফাঊন্ডেশন)

সর্ব প্রথম কোন উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে এ সম্পর্কে -

أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ نَحْنُ الآخِرُونَ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، بَيْدَ أَنَّهُمْ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا، ثُمَّ هَذَا يَوْمُهُمُ الَّذِي فُرِضَ عَلَيْهِمْ فَاخْتَلَفُوا فِيهِ، فَهَدَانَا اللَّهُ، فَالنَّاسُ لَنَا فِيهِ تَبَعٌ، الْيَهُودُ غَدًا وَالنَّصَارَى بَعْدَ غَدٍ

আবূ হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা মর্যাদার দিক দিয়ে সবার আগে। পার্থক্য শুধু এই যে, তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের আগে। তারপর তাদের সেদিন যেদিন তাদের জন্য ইবাদত ফরয করা হয়েছিল তারা মতানৈক্য করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ আমাদের হিদায়াত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাতবর্তী। ইয়াহূদীদের (সম্মানিত দিন হল) আগামীকাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামীপরশু (রোববার)।     (সহীহ বুখারী,হাদিস নং-৮৩২,

সুতরাং -স্পষ্ট যে সর্বপ্রথম জান্নাতি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ  (সাঃ)এবং তাহার উম্মতই উম্মত হিসেবে সর্বপ্রথম জান্নাতি৷ অন্যান্য নবীদের উম্মত তাদের পরে যাবে৷তবে একদম পরে কোন নবীর উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে তা স্পষ্ট নয়৷    

রাসূলুল্লাহ সা. এক হাদীসে বলেন, পুনরুত্থান দিবসে আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদম, আদম আ. প্রতিউত্তরে বলবেন, লাব্বাইক, আমি হাযির। আপনিই সকল কল্যাণের মালিক। আল্লাহ বলবেন, জাহান্নামের লোকদের বের করে নিয়ে আস। আদম আ. বলবেন, হে আল্লাহ কত মানুষ আনব? আল্লাহ সুবহানুহু ওয়াতায়ালা তাকে বলবেন, প্রতি এক হাজারে নয়শত নিরানব্বই জনকে। বিশাল সংখ্যক লোক জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যাই হোক, যখন এভাবে জাহান্নামীদের বের করে আনা হবে, জান্নাতের লোকদের পৃথক করা হবে, এটা নিয়ে তখন সেখানে নবীগণের মধ্যে এক প্রতিযোগিতা চলবে। উত্তম প্রতিযোগিতা।

কার উম্মত বেশি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে, এই প্রতিযোগিতা! আপনারা জানেন, মেরাজের রাতে যখন রাসূলুল্লাহ সা. মূসা আ. এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মূসা আ. কেঁদেছিলেন, মনে আছে?তিনি কেন কেঁদেছিলেন? মূসা আ. বলেন, তার কারণ, এক যুবককে আমার পরে পাঠানো হয়েছে আর তার উম্মতের সংখ্যা অনেক। তারা আমার আগে জান্নাতে যাবে আর তারপর আমার উম্মত যাবে। তাই সে সময় পর্যন্ত অনুসারীর দিক থেকে তিনি প্রথম ছিলেন। কেননা নবী মুহাম্মাদ সা. এর উম্মতের পর বৃহৎ উম্মত হল বনী ইসরাঈল। আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালা বলেন, হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের উপর করেছি এবং (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি সমগ্র বিশ্বের উপর।

আমাদের নবীর আগমনের পূর্বে সবছেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উম্মত ছিলো,বনী ঈসরাঈল৷ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ