শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

সম্পূর্ণরূপে হারাম৷কোন মুসলিম মেয়ের কোন কাফের কিংবা হিন্দুর সাথে বিয়ে বন্ধন সম্পূর্ণ হারাম৷  

 এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক (বহু স্রষ্টায় বিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে কোরো না, যদিও মুশরিক নারী তোমাদের মুগ্ধ করে...। ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক পুরুষের সঙ্গে (তোমাদের নারীদের) বিয়ে দিয়ো না, যদিও মুশরিক পুরুষ তোমাদের মুগ্ধ করে...। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘...তোমরা কাফির নারীদের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না...। ’ (সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ১০)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

অবশ্যয় হারাম হবে মেয়ে যদি মুসলিম হয় তাহলে ছেলে  অবশ্যয় মুসলিম হতে হবে বিয়ে জন্য  হিন্দু ছেলে কে বিয়ে করা হারাম   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোন মুসলিমের সাথে কোন অমুসলিমের বিবাহ বৈধ নয়। তা প্রকাশ্য হারাম। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন, মুশরিক নারীরা ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা তাদের বিবাহ করো না। মূলত মু’মিন ক্রীতদাসী মুশরিক নারী থেকে উত্তম, ওদেরকে তোমাদের যতোই ভালো মনে হোক না কেন। ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষদের সাথে বিবাহ দিয়ো না। বস্তুত মুশরিককে তোমাদের যতোই ভালো মনে হোক না কেন, মু’মিন গোলাম তার চেয়ে উত্তম। ওরা আগুনের দিকে আহ্বান করে আর মহান আল্লাহ্‌ নিজের অনুগ্রহে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন। তিনি মানুষদের জন্য নিজের হুকুমগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করছেন যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। (সুরা বাকারাঃ ২২১) এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য মুশরিক নারীদেরকে বিবাহ করা হারাম করে দিয়েছেন। এ আয়াতে সকল মুশরিক নারী শামিল। সে আহলে কিতাবের হোক বা মূর্তি পূজারী হোক। তবে অন্য আয়াতে আহলে কিতাবের নারীদের বিবাহ করার বৈধতা দেয়া হয়েছে তবে শর্ত হল তাদের দীনের ওপর বহাল থাকতে হবে। অনুরূপ কোন মুসলিম পুরুষও কোন অমুসলিম মহিলাকে বিবাহ করতে পারে না। অবশ্য কিছু শর্তের সাথে কেবল ইয়াহুদী-খ্রিস্টান মহিলাকে বিবাহ করতে পারে। মহান আল্লাহ বলেছেন, বিশ্বাসী সচ্চরিত্রা নারীগণ ও তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীগণ (তোমাদের জন্য বৈধ করা হল); যদি তোমরা তাদেরকে মোহর প্রদান করে বিবাহ কর, প্রকাশ্য ব্যভিচার অথবা উপপত্নীরূপে গ্রহণ করার জন্য নয়। (সুরা মায়িদাহঃ ৫) অবশ্য উমার (রাঃ) সৎ উদ্দেশ্যেও আহলে কিতাব মহিলাদেরকে বিবাহ করা অপছন্দ করতেন। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৫৫৮) ইবনু উমার (রাঃ) আহলে কিতাব নারীদের বিবাহ করা অপছন্দ করতেন। কারণ ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) বলেন: যারা বলে ঈসা (আঃ) হলেন আল্লাহ তাআলা এর চেয়ে বড় কোন শির্ক আছে কিনা আমি জানি না। (সহীহ বুখারীঃ ৫২৮৫) মূলতঃ তাদেরকে বিবাহ না করাই ভাল। কারণ এতে সংসারে সমস্যা সৃষ্টি হবে ও সন্তান-সন্ততির সমস্যা হবে। সর্বপরি দীনের সমস্যা হবে। অনুরূপভাবে কোন মুমিনা মহিলা কোন মুশরিক পুরুষকে বিবাহ করবে না ঈমান না আনা পর্যন্ত। মুশরিক মহিলাদেরকে বিবাহ করার চেয়ে বা মুশরিক পুরুষদেরকে বিবাহ করার চেয়ে মুমিন দাস-দাসীদের বিবাহ করা উত্তম। যদিও মুশরিক মহিলা বা পুরুষের সম্পদ সৌন্দর্য তোমাদেরকে আকৃষ্ট করে এবং মুমিন দাস-দাসী গরীব বা কদাকার হওয়ায় বাহ্যিক অপছন্দের হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মহিলাদেরকে সাধারণত তাদের সম্পদ, সৌন্দর্য, বংশ ও দীনদারীত্ব দেখে বিবাহ করা হয়। তোমরা দীনদার মহিলাদের বিবাহের জন্য নিবার্চন কর। (সহীহ বুখারীঃ ৫০৯০, সহীহ মুসলিমঃ ১৪৬৬) মূলতঃ দীনদারিত্বকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, কারণ দীন না থাকলে দাম্পত্য জীবন শান্তিময় হওয়া খুবই কঠিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ