আর আমার হাত পুঙ্গ হয়েগিয়াছে দুর্ঘটনায় কারণে  তাই হতাশয় আমি আল্লাহ প্রতি বিশাস কমে গেছে  আল্লাহ ডাকতে মন চাই না এর কারণ কি      
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

প্রথমে গোনাহ ছাড়ুন৷ আর বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর উপর,এতেই ঈমান৷    

আল্লাহ তায়ালা বলেন-আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, তাদেরকে সুখবর দাও। [আল-বাক্বারাহ ১৫৫]

আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই

আল্লাহ تعالى শুরু করছেন: وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَىْءٍ — আল্লাহ تعالى আমাদেরকে এই দুনিয়াতে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষা নেবেনই, নেবেন। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি আরবিতে দুই বার জোর দিয়ে এ কথা বলেছেন। কারো বেলায় সেই পরীক্ষা হয়তো চাকরি হারিয়ে ফেলে অভাবে, কষ্টে জীবন পার করা।কারো হাত হারিয়ে কষ্টে জীবন পার করা৷  কারো বেলায় হয়তো বাবা-মা, স্বামী, স্ত্রী, সন্তানদের জটিল অসুখের চিকিৎসায় দিনরাত সংগ্রাম করা। কারো বেলায় হয়তো নিজেরই নানা ধরনের জটিল অসুখ। কারো বেলায় আবার জমি-জমা, সম্পত্তি নিয়ে আত্মীয়স্বজনদের সাথে শত্রুতা, শ্বশুর-শাশুড়ির অত্যাচার, দুশ্চরিত্র স্বামী, পরপুরুষে আসক্ত স্ত্রী, ড্রাগে আসক্ত ছেলে, পরিবারের মুখে কালিমা লেপে দেওয়া মেয়ে —কোনো না কোনো সমস্যায় আমরা পড়বোই। এই সমস্যাগুলো হচ্ছে আমাদের জন্য পরীক্ষা।

পৃথিবীতে আমরা এসেছি পরীক্ষা দিতে —এটা হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। হিন্দি সিরিয়াল, মিউজিক, ভিডিও গেম, রংবেরঙের পানীয়, হাজারো বিনোদন সবসময় আমাদেরকে চেষ্টা করে এই বাস্তবতাকে ভুলিয়ে দিতে। আমরা নিজেদেরকে প্রতিদিন নানা ধরনের বিনোদনে বুঁদ করে রেখে জীবনের কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। আমরা বিনোদনে যতই গা ভাসাই, ততই বিনোদনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাই। যতক্ষণ বিনোদনে ডুবে থাকি, ততক্ষণ জীবনটা আনন্দময় মনে হয়। তারপর বিনোদন শেষ হয়ে গেলেই অবসাদ, বিরক্তি, একঘেয়েমি ঘিরে ধরে। ধীরে ধীরে একসময় আমরা জীবনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। “কেন আমার নেই, কিন্তু ওর আছে?” “কেন আমারই বেলায় এরকম হয়, অন্যের কেন এরকম হয় না?” —এই সব অসুস্থ প্রশ্ন করে আমরা আমাদের মানসিক অশান্তিকে জ্বালানী যোগাই। এত যে অশান্তি, তার মূল কারণ হলো: আমরা যে এই জীবনে শুধু পরীক্ষা দিতে এসেছি —এই কঠিন বাস্তবতাটা ভুলে যাওয়া।

বিপদের সময় আল্লাহকে স্মরণ করাই মুমিনের পরিচয়।

আইয়ূব আলাইহিস সালাম বিপদে পড়ে আল্লাহকেই ডেকেছিলেন, আল্লাহ তাঁর বিপদ দূর করেছিলেন- 

وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ فَاسْتَجَبْنا لَهُ فَكَشَفْنا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ وَآتَيْناهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنا وَذِكْرى لِلْعابِدِينَ.

অর্থ : এবং স্মরণ কর আইয়ুবের কথা যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার দুঃখ-কষ্ট দুরীভ‚ত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সঙ্গে তাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতস্বরূপে এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ। -সূরা আম্বিয়া (২১) : ৮৩-৮৪

সুতরাং বিপদের সময় আল্লাহকে স্বরণ করাও ডাকা মুমিনের পরিচয়, আর ভেঙে পড়া দুর্বল ঈমানের পরিচয়৷ যে ধৈর্য্য ধারণ করলো সে সফলও আল্লাহ তায়ালা তাকে দিবেন উত্তম প্রতিদান৷ 

যেমন--ধরুন!আমরা কখনো কখনো কোন কারণে হতাশ হয়ে এমন বলি যে,হে আল্লাহ আমার জীবনের বদলে এইটা আমাকে দাও৷ কেন?কারণ তখন ঐ জিনিসটির প্রয়োজনীয়তা জীবনের চেয়ে বেশি হয় তাই৷ সুতরাং -যেহেতু আল্লাহ সর্ব শক্তিধর ও প্রজ্ঞাময়,তিনিই  ভালো জানেন আপনার জন্য কোনটা ভাল হবে৷ কিন্তু তার এটারও প্রয়োজন নেই যে,একটা নিয়ে একটা দিবে৷ এটা শুধু পরীক্ষা৷ যদি পাশ হোন,অনেক মূল্যবান কিছু পাবেন,আর যদি হারেন,তবে অনেক কিছু আরো হারাবেন৷ 

বিশ্বাসীদের জন্য  রয়েছে উত্তম শিক্ষা৷ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ