HMMOBAROKBD

Call

কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে বলা হবে) তুমি তোমার কিতাব (আমলনামা) পাঠ করো। আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।(সুরা বনী ইসরাইল, ১৪)

মানুষের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার রবের কসম! আমি অবশ্যই তাদের সবাইকে তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯২-৯৩)

অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না। [ সুরা বাকারা ২:২৮১ ] 

সুতরাং -এই আয়াত সমুহের আলোকে বলা যায়,কিয়ামতের দিন কেউ নামের উছিলায় জান্নাত পাবে না!বরং-নিজের আমল এর জন্য ই যাবে৷ (এর জন্য  প্রয়োজন শিরকমুক্ত ঈমানও শিরক বিহীন আমল৷) 

বাকি-আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু৷ আল্লাহ যাকে চান বিনা-হিসাবে জান্নাত দিবেন৷যে কোন উছিলায় হতে পারে৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ, আমিও আলেমদের নিকট হতে এরূপ কথা শুনেছি। অনেক মানুষ শুধুমাত্র সুন্দর নামের উসিলায় জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে। যেমনঃ- মহান আল্লাহ যখন হাশরের ময়দানে ইব্রাহীম বলে ডাক দেবেন, তখন ইব্রাহিম (আঃ) সহ যাবতীয় ইব্রাহীম দাঁড়িয়ে যাবে। তখন আল্লাহ চাইলে তাঁর খলিলের নামে নাম রাখার উছিলায় মাফ করে দিতে পারেন। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়া’লার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অনেকেই ধারণা করে যে, সন্তানদের নাম নবী-রাসূলের নাম অনুসারে রাখলে হাশরের ময়দানে এই নামের উছিলায় আল্লাহ পাক তাদেরকে ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এটি একটি ভ্রান্ত কথা ও ভুল ধারণা। শুধু নামের ওসিলায় কেউ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না যদি তার শিরক মুক্ত ঈমান ও বিদআত মুক্ত আমল না থাকে। জান্নাতে প্রবেশের জন্য অবশ্যই এই দুটি প্রধান শর্ত। কারো যদি খুব সুন্দর ইসলামিক নাম হয় কিন্তু সে যদি শিরক, বিদআত এবং পাপাচারে লিপ্ত থাকে তাহলে সে মুক্তি পাবে না বরং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। পক্ষান্তরে যদি কারো নাম নবী, রাসুল বা সাহাবীদের নামের মতো নাও হয় কিন্তু সে ঈমান, আমল, তাকওয়া এবং দ্বীনদারীতে অগ্রগামী হয় তাহলে আশা করা যায় যে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ