প্রথমে ইবাদত কবুল হওয়া সম্পর্কিত একটি হাদিস দেখে নেওয়া যাক! হজরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদি.) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ নিজ খ্যাতি লাভের জন্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তার বদনাম রটিয়ে দিবেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানো কোনো নেক কাজ করেন, আল্লাহ তায়ালা মানুষের নিকট তা প্রকাশ করেদেন।’ উল্লেখ্য হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি বিষয়ের প্রতি গুরত্ব দিয়েছেন। (এক) রিয়া বা লৌকিকতা। (দুই) খ্যাতি বা প্রসিদ্ধিলাভ।প প্রত্যেক ভালো কাজ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা হলো ইখলাস। আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির বিপরিত করাটাই রিয়া। ইখলাস হলো, সমস্ত আমলের রুহ, ইখলাসবিহীন কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। রিয়া বা লৌকিকতা সকল আমলকে বরবাদ করে দেয়। মানুষ দেখানোর জন্য যা কিছু করা হয়, তাকে রিয়া বলে। অর্থাৎ, মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা লাভের জন্য কোনো ইবাদত লোকদের দিখিয়ে করা। মানুষকে দেখানো দান সদকা, নামাজ, রোজা বা অন্যান্য ইবাদত করা। যাতে লোকেরা তাকে ভালো মনে করে। বা সমাজে তাকে মানুষ সম্মান করে। এখানে স্পষ্ট যে,লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়,সেটা নামাজ হওক,বা অন্য ইবাদত! দোয়াও ইবাদত৷ আর ইখলাস ছাড়াও ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়৷ সুতরাং -আপনি মানুষের সামনে ইবাদত /দোয়া করতে লজ্জাবোধ করছেন,যদি তা রিয়া থেকে বাঁচা উদ্দেশ্য হয় তবে ভালো৷ কিন্তু এর মধ্যেও একটা খারাপ দিক হলো--আপনার ইবাদাতে যদি ইখলাস থাকে, একাগ্রতা থাকে, তবে আপনার এটা দেখার বিষয় না যে,কে দেখছে আর কে দেখছে না৷ এর জন্য আপনি ইবাদতে ইখলাস সৃষ্টি করুন,আর একাগ্রতার সহিত ইবাদত করুন৷আপনার মাঝে যদি রিয়া না থাকে তাহলে মানুষ দেখায় আপনার ইবাদত এর কোন সমস্যা নেই৷ সুতরাং -লজ্জা ত্যাগ করুন৷ আর একাগ্রতা সৃষ্টি হয় এমন জায়গা নির্বাচন করুন,নামাজ পড়ার জন্য৷আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন৷ আল্লাহর কাছে দোয়া করুন,মনের একাগ্রতার জন্য৷