শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

শিরক আরবী শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হলোঃ অংশীদার, সংমিশ্রণ, সমান - ইত্যাদি।

শরীয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করাকে শিরক বলে।

শিরক প্রধানত দুই প্রকার।

  1. শিরকে আকবার তথা বড় শিরক।
  2. শিরকে আসগার তথা ছোট শিরক।
তবে, অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে শিরক মোট তিন ধরনের হতে পারে৷
  1. আল্লাহর সত্তার সাথে শিরক করা। যেমনঃ আল্লাহর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা আছে বলে বিশ্বাস করা।
  2. আল্লাহর গুণাবলিতে শিরক করা। যেমনঃ নবী, রাসূল ও আওলিয়াগণ গায়েব জানেন বলে মনে করা ,কারণ গায়েবের জ্ঞান শুধু আল্লাহ জানেন।
  3. আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা। যেমনঃ কবর কিংবা মাজারে সিজদা দেওয়া। কোন পীরকে সেজদা দেওয়া। এমনকি! উপাসনার নিয়তে কারো সামনে মাথা নত করাও শিরকের অন্তর্ভুক্ত। (সংরক্ষিত+সম্পাদিত)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

★★শিরক দুই প্রকার:

★১. শিরকে আকবার (বড় শিরক)

এ ধরণের শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি যদি শিরকের উপরই মৃতু্যবরণ করে, এবং তা থেকে তওবা না করে থাকে, তাহলে সে চিরস্থায়ী ভাবে দোজখে অবস্থান করবে৷

শিরকে আকবর হলো গায়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া যে কোন ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত আদায় করা, গায়রুল্লাহর উদ্দেশে কুরবানী করা, মান্নাত করা, কোন মৃত ব্যক্তি কিংবা জি্বন অথবা শয়তান কারো ক্ষতি করতে পারে কিংবা কাউকে অসুস্থ করতে পারে, এ ধরনের ভয় পাওয়া, প্রয়োজন ও চাহিদা পূর্ণ করা এবং বিপদ দূর করার ন্যায় যে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতা রাখেনা সে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আশা করা৷ আজকাল আওলিয়া ও বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহকে কেন্দ্র করে এ ধরনের শিরকের প্রচুর চর্চা হচ্ছে৷ এদিকে ইশারা করে আল্লাহ বলেন:

وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهَِ ﴿18﴾ سورة يونس

‘তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর ইবাদত করে, যা না তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে, না করতে পারে, কোন উপকার৷ আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী৷’


★২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক)

এ ধরনের শিরকে লিপ্ত ব্যাক্তি তার একত্ববাদের আক্বীদায় ত্রুটি ও কমতির সৃষ্টি করে৷ এটি শিরকে আকবারে লিপ্ত হওয়ার অসীলা ও কারণ৷যেমন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রসিদ্ধি অর্জনের জন্য কোন আমল করা৷ অর্থাত- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এমন কোন কাজ করে তা দ্বারা মানুষের প্রশংসা লাভের ইচ্ছা করা৷ যেমন সুন্দর ভাবে নামায আদায় করা, কিংবা সদকা করা এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ তার প্রশংসা করবে, অথবা সশব্দে যিকির- আযকার পড়া ও সুকন্ঠে তেলাওয়াত করা যাতে তা শুনে লোকজন তার গুণগান করে৷ যদি কোন আমলে রিয়া তথা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য সংমিশ্রিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তা বাতিল করে দেন৷ আল্লাহ বলেন:

فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ...  ﴿110﴾ سورة الكهف

‘অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সত্কর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

أخوف ما أخاف عليكم الشرك الأصغر، قالوا يارسول الله وما الشرك الأصغر قال: الرياء

‘তোমাদের উপর আমি যে জিনিসের ভয় সবচেয়ে বিশী করছি তা হল শিরকে আসগরধ৷ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! শিরকে আসগর কি? তিনি বললেন: রিয়া (লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আমল করা)

★★উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে,শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷ সেগুলো হল:


১. কোন ব্যক্তি শিরকে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না৷

২. শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷

৩. শিরকে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শিরকে আসগার সব আমল নষ্ট করেনা৷ বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তত্সংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে৷

৪. শিরকে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলমানদের জন্য হালাল৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়!

পরিশেষে -আল্লাহ আমাদের শিরক মুক্ত জীবন গড়ার তাওফিক দিন!(আমিন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শিরক আরবী শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হলোঃ অংশীদার, সংমিশ্রণ, সমান - ইত্যাদি।

শরীয়তের পরিভাষায়, আল্লাহর সাথে অন্য কোন ব্যাক্তি বা বস্তুকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলে।

শিরক প্রধানত দুই প্রকার।

  1. শিরকে আকবর ( বড় শিরক।)
  2. শিরকে আসগর ( ছোট শিরক।)
শিরকে আকবর হলো মহান আল্লাহর সাথে সরাসরি কোন বস্তুকে স্রষ্টা হিসেবে গণ্য করা।
আল্লাহ বলেন,

وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهَِ ﴿18﴾ سورة يونس

‘তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর ইবাদত করে, যা না তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে, না করতে পারে, কোন উপকার৷ আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী৷’

শিরকে আসগর হলো ছোট শিরক। লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়া, আমলে রিয়া থাকা ইত্যাদি ছোট শিরক।আল্লাহ বলেন,

فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ...  ﴿110﴾ سورة الكهف

‘অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সত্কর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’।

তবে শিরক প্রধানত চার ধরণের হতে পারে।

  • আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা।ঈসা(আঃ) কে আল্লাহর পুত্র মনে করা।
  • আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা।
  • সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো।
  • ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ