প্রধানত ফেস অ্যাপ এর মাধ্যমে মূল চেহারা প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো অক্ষুন্ন রেখেই তরুণরা বুড়ো, বুড়োরা হতে পারবেন তরুণ এমনকি নারীর চেহারাকে চাইলে পুরুষ বানানো যায়। এই চেহারা বিকৃত করা ইসলামে নিষেধ রয়েছে। ইসলামের কঠোর নিষেধ থাকা সত্তেও অনেক কে দেখা যায় চেহারা বিকৃত করে ছবি আপলোড করতেছে , অনেকে আবার চেহারা কে বিকৃত করে কুকুরের রুপ দিয়ে ছবি আপলোড দিচ্ছে । তারা নিজেরাও জানেনা সামান্য মনের আত্ন-তুষ্টির জন্য তারা কত বড় গুনাহের ভাগিদার হচ্ছে। শয়তান আল্লাহকে বলেছে, তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই বহু প্রলোভন দেব এবং তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা জন্তু-জানোয়ারের কান ছেদন করবে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত। (আন নিসাঃ ১১৯) আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা তিনভাবে হয়। প্রথম এটা, যা এখন আলোচিত হল। যেমন, কান কাটা, চিড়া এবং ছিদ্র করা। এ ছাড়াও আরো কয়েকভাবে তা করা হয়। যেমন, মহান আল্লাহ চাঁদ, সূর্য, পাথর এবং আগুন ইত্যাদি অনেক জিনিস বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য পরিবর্তন করে সেগুলোকে উপাস্যে পরিণত করা। আবার পরিবর্তনের অর্থ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবর্তন এবং হালাল ও হারামের মধ্যে পরিবর্তনও হয়। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা অনুরূপ মহিলাদের গর্ভাশয় তুলে ফেলে তাদের সন্তান জন্মানোর যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করাও এই পরিবর্তনের আওতায় পড়ে। মেকআপের নামে ভ্রূর চুল চেঁছে নিজের আকৃতির পরিবর্তন করা এবং চেহারা ও হাতে দেগে নকসা করা ইত্যাদিও এরই মধ্যে শামিল। ''আমি নির্দেশ দেব, ফলে তারা সৃষ্টি পরিবর্তন করবে'' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তাদের ওপর আল্লাহ তাআলার লানত যারা উল্কী করে ও করিয়ে নেয়, ভ্রুর চুল তুলে ও তুলিয়ে নেয় এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত চিকন করে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি পরিবর্তন করে। (সহীহ বুখারীঃ ৫৯৩১) এছাড়া অন্যান্য সকল সৃষ্টির পরিবর্তন এতে শামিল। তার মধ্যে ফেস অ্যাপ এ সবই হল শয়তানী কার্যকলাপ, তা থেকে বিরত থাকা জরুরী।