কুরআন নাজিল হওয়ার আগে মুসলিমরা যে ধর্ম ছিল শিরকমুক্ত ও তাওহীদভিত্তিক সেই ধর্ম পালন করত। আর সেটা ছিল ইসলাম ধর্ম। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি নবজাতক ফিতরাতে জম্ম গ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইয়াহুদী বানায়। (সহীহ মুসলিম দিস নম্বরঃ ৬৫১৪ হাদিসের মানঃ সহিহ) এছাড়া মিল্লাতে ইবরাহীম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করে বলেনঃ অতঃপর আমি আপনার কাছে একনিষ্ঠ মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ করার প্রত্যাদেশ করেছি। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (আন-নাহলঃ ১২৩) জনাব! অবশ্য নীতিগত দিক দিয়ে সকল নবীর শরীয়ত ও দ্বীন একই ছিল। যাতে রিসালাত সহ তাওহীদ ও পরকাল ছিল মৌলিক বিষয়। অর্থাৎ একেশ্বরবাদী ছিলেন।
আল্লাহ কর্তৃক একমাত্র মনোনীত দ্বীন হলো ইসলাম। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) পর্যন্ত একটি ধর্মই প্রচার করেছেন। সেটি হলো: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। তথা ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা একেক জাতির নিকট একেক নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। পৃথিবীতে যত নবী রাসূল এসেছেন তাঁরা সবাই কিন্তু আল্লাহ্ কর্তৃক মনোনীত। তাই তাঁরা আল্লাহর কালেমাই মানুষের নিকট নিয়ে এসেছেন। সুতরাং তাঁদের উম্মত আল্লাহর ইবাদত করতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছেন সমগ্র বিশ্বের মানবজাতির জন্য। মুহাম্মদ (স.) এর পূর্বের জাতিগণ উম্মতে মুহাম্মদি না হলেও তাদের ধর্ম ইসলামই ছিল। তারাও ছিল আল্লাহর একত্ববাদের উপর প্রতিষ্ঠিত।