খন্ড খন্ড আকারে নাজিল হওয়ার কারণ কি
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

লৌহে মাহফু্জ হতে দুনিয়ার আকাশে কোরআন শরীফ এক সাথেই নাযিল হয়েছে, অতপর মানব জাতির প্রয়োজন অনুপাতে রাসুল সাঃ এর প্রতি নাযিল হয়েছে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পবিত্র কোরআন যদি একসাথে নাজিল হতো, তাহলে রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবোদের পক্ষে একসাথে অনেকগুলো নতুন আদেশ পালন কষ্টকর হয়ে যেত। তাই যখন যে আয়াতের প্রয়োজন হয়েছে,তখন তাই নাজিল হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, "কাফিররা বলে, তাঁর উপর সমগ্র কোরআন একত্রে নাজিল হলো না কেন? আমি এভাবেই অবতীর্ণ করেছি আপনার হৃদয়কে তার দ্বারা মজবুত করার জন্য এবং আমি তা ক্রমশ নাযিল করেছি" (সুরা ফুরকান-৩২) একই কথা বলা হয়েছে সুরা বনী ইসরাঈলের ১০৬ নং আয়াতে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাওরাত, ইঞ্জীল, যাবূর যেমন একেবারে অবতীর্ণ হয়েছিল ঠিক তেমন কুরআন কেন এক সাথে অবতীর্ণ করা হল না কেন? এমন প্রশ্ন কাফিরদের-ও ছিল। কাফিররা বলে- তার কাছে পুরো কুরআন এক সাথে অবতীর্ণ করা হল না কেন? আমি এভাবেই অবতীর্ণ করেছি। তোমার হৃদয়কে তা দ্বারা সুদৃঢ় করার জন্য আমি তোমার কাছে তা ধীরে ধীরে পরিকল্পিত স্তরে ক্রমশঃ আবৃত্তি করিয়েছি। (আল-ফুরকানঃ ৩২) আল্লাহ তায়ালা উত্তরে বলছেন, আমি অবস্থা অনুসারে ও প্রয়োজন মত এই কুরআন দীর্ঘ ২৩ বছরে কিছু কিছু করে অবতীর্ণ করেছি। যাতে হে নবী তোমার ও ঈমানদারদের অন্তর সুদৃঢ় হয় এবং যাতে তাদের সুন্দরভাবে মুখস্থ হয়ে যায়। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে। অর্থাৎ, আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি খন্ড-খন্ডভাবে, যাতে তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পার ক্রমে ক্রমে এবং আমি তা যথাযথভাবে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা বানী ইসরাইলঃ ১০৬) আল্লাহ তায়ালা কুরআনকে খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল করার হেকমত বর্ণনা করছেন যে, যাতে কুরআনের মাধ্যমে তোমার অন্তর দীনের ওপর অটল রাখতে পার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াতী কাজে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতেন, মানুষ দাওয়াত বর্জন করত, বিভিন্নভাবে কষ্ট দিত। এসব কষ্ট সহ্য করেও তিনি দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতেন, তিনি চাইতেন তারপরেও মানুষ ঈমান আনুক। ফলে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময় সান্ত্বনা, পূর্ববর্তী নাবীগণের কষ্টময় জীবন ইত্যাদি মাঝে মাঝে তুলে ধরতেন যাতে এসব কষ্ট তিনি সহজে সহ্য করে নেন এবং তাতে অটল থাকতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক হেকমত রয়েছে। অর্থাৎ থেমে থেমে অবকাশ দিয়ে নাযিল করেছেন যাতে কোন সমস্যা উপস্থিত হলে সমাধান দিতে পারা যায়। সুতরাং কোরআন ক্রমে ক্রমে নাযিল করা; একত্রে নাযিল না করা ঈমান না আনার কোন কারণ হতে পারে না। অর্থাৎ সত্যকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধ করার জন্য তারা যে কোন প্রকার উপমা নিয়ে আসুক, আমি তোমার ওপর নাযিল করব যা সত্য ও পরিপূর্ণ বর্ণনা সম্বলিত থাকবে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, তিনি এ কুরআনকে খণ্ড খণ্ড করে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অবতীর্ণ করেছেন। যাতে তিনি মানুষকে সহজে বুঝাতে পারেন। কুরআন খণ্ড খণ্ড আকারে নাযিল হওয়ার অন্যতম আরেকটি উদ্দেশ্য হল সহজেই মুখস্ত করা। কারণ একত্রে কুরআন নাযিল হলে মুখন্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা এই কুরআনকে সত্যসহকারে ধীরে ধীরে প্রয়োজন অনুযায়ী অবতীর্ণ করেছেন। যাতে মানুষের বুঝতে সহজ হয়, ধারণ করতে সহজ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ