আমাকে নিম্নের প্রশ্নটির "ক" ও "ঘ"
8ম শ্রেণীর জন্য.....
আমি এগুলো করেছি তাও শিউর হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম।
ক এর উত্তর :মোট পরমাণু আছে সতেরটি।ঘ এর উত্তর KCLo3 কে তাপ দিলে এটি ভেঙে গিয়ে KCl +O2 তৈরি করবে।এই পটাশিয়াম ক্লোরাইড বা KCl কে তড়িৎবিশ্লেষণ করা যাবে।এর দ্রবণ নিয়ে তাতে অ্যানোড ও ক্যাথোড প্রবেশ করিয়ে ব্যাটারি দিয়ে বিদ্যুৎ চালনা করলে অ্যানোডে ক্লোরিন গ্যাস বা Cl2 উৎপন্ন হবে আর ক্যাথোডে পটাশিয়াম ধাতু উৎপন্ন হবে।
ক) Al2(SO4)3 এলুমিনিয়াম সালফেট এর একটি অনুতে (২টি এলুমিনিয়াম পরমানু) + (সালফেটে একটি সালফার ও ৪ টি অক্সিজেন মোট ৫ টি পরমানু * ৩ এখানে সালফেট ৩টি হওয়ায় মোট ১৫ টি পরমানু)= ১৭ টি পরমানু থাকে। অপরদিকে মনে হয় এলুমিনিয়াম এর আগে ১৩ লিখেছেন যার অর্থ এলুমিনিয়াম এর ১৩ টি অনু। কাজেই একটি অনুতে ১৭ টি পরমাণু থাকলে ১৩ টি অনুতে ১৩*১৭=২২১ টি পরমানু আছে। ঘ) ii) বিক্রিয়া KClO3-------তাপ--> KCl + O2 (সমতা করতে চাইলে ২KClO3----তাপ--> ২KCl + 3O2 যেহেতু গ্যাস টেস্টিউবে সংগ্রহ করা হয় এবং এটি পানিতে সামান্য দ্রবীভুত হলেও তা প্রধান নয়। প্রধান হচ্ছে পটাশিয়াম ক্লোরাইড KCl যা পানিতে দ্রবীভুত হয়ে যথাক্রমে K+ ও Cl- আয়ন উৎপন্ন করে। এতে তড়িৎ বিশ্লেষন নিম্নরুপঃ একটি তড়িত বিশ্লেষ্য কোষে পটাশিয়াম ক্লোরাইড এর দ্রবন নিয়া তাতে তড়িত বিশ্লেষন করলে এনোড ও ক্যাথডে যে বিক্রিয়া পরিবর্তন হবে তা হচ্ছেঃ- ক্যাথোডে বিক্রিয়াঃ আমরা জানি ক্যাথোড হচ্ছে ধনাত্মক প্রান্ত, কাজেই ক্যাথোড কতৃক Cl- আয়ন ও OH- আয়ন দুটোই আকৃষ্ট হবে। কিন্তু সক্রিয়তা সিরিজে হাইড্রোক্সিল আয়নের চেয়ে ক্লোরাইড অধিক সক্রিয় তাই এখানে শুধু কম সক্রিয় হাইড্রোক্সিল আয়ন আগে ইলেক্ট্রন ছেড়ে দেয়। এবং অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসে সৃষ্টি করে কিন্তু হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলে পানি তৈরি করে ও কিছু অক্সিজেন তৈরি হয়। 4 OH- - e- ----> 2 H2O + O2 অক্সিজেন বুদ বুদ আকারে নির্গত হয়। অপর দিকে এনোড কতৃক H+ ও K+ উভয় আয়ন ধাপিত হয়। এখানে দুই রকম বিক্রিয়া ঘটতে পারে দ্রবনের ঘনত্ব অনুযায়ী। হালকা দ্রবনের ক্ষেত্রে- যেহেতু সক্রিয়তা সিরিজে k+ আয়নের চেয়ে H+ আয়ন কম সক্রিয় তাই এটি এনোড থেকে ইলেক্ট্রন গ্রহন করে H2 গ্যাসে রুপান্তরিত হয়। ২ H+ + e- ---> H2 বুদ বুদ আকারে নির্গত হয়। যদি দ্রবন অধিক ঘন হয় তবে পটাশিয়াম সক্রিয়তা সত্বেও ঘনত্বের অধিক্যের কারনে পটাশিয়ামই ইলেক্ট্রন গ্রহন করে পটাশিয়াম ধাতুতে রুপান্তর হয়ে এনোডের গায়ে জমা হবে। K+ + e- ---> K (ধাতু) কিন্তু এই পটাশিয়াম পানির সাথে তীব্র বিক্রিয়া করায় দ্রবনের পানির সাথে পূনরায় বিক্রিয়া করে 2K + 2 H2O ---->2 KOH + H2 কিন্তু বাস্তবে kOH উৎপন্ন না হয়ে শুধু মাত্র k+ আয়ন দ্রবনে পরিব্যপ্ত হয়। কেননা ক্যাথোডে হাইড্রোক্সিল এর বিক্রিয়া ঘটলেও ক্লোরাইড আয়ন তার সক্রিয়তার জন্য দ্রবনে থেকে গেছিল। ঐ ক্লোরাইড আয়ন এই k+ আয়নের সাথে পুনরায় KCl হিসাবে দ্রবনে থেকে যায়। ফলে এনোডে কোনরুপ পটাশীয়াম ধাতু পাওয়া যায়না, এখানে হাইড্রোজেন গ্যাস পাওয়া যায়। কাজেই পটাশিয়াম ক্লোরাইড দ্রবনে যতক্ষন না পর্যন্ত সম্পৃক্ত অবস্থা ঘটবে ততখন তড়িতবিশ্লেষন করলে ক্যাথোডে অক্সিজেন ও এনোডে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হবে।