গোসল ফরজ, অথচ কোনো এক কারণে গোসল করা গেল না কিন্তু নফল রোজা রাখার খুব ইচ্ছে। এমতাবস্থায় সেহরী খেলে এবং পরের দিন গোসল করলে কি এই নফল রোজা হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

হ্যা!!আপনার রোজা হয়ে যাবে তবে উত্তম হলো ফরজ গোসল করে নেওয়া।  আপনি যে সময়ে রোজা রাখার ইচ্ছাপুষণ করছেন সে সময়ে আপনি ফরজ গোসল করতে গেলে যদি সেহরি খাওয়া না হয়,তবে আগে সেহরি খেয়ে নিন,তারপর অনতিবিলম্বেে গোসল করে নিন,রোজা হবে!   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ফরজ গোসল না করেই সেহরী খেলে নফল রোজা হবে। তবে ফজর নামাজের আগেই গোসল করতে হবে। স্ত্রী-সঙ্গম অথবা স্বপ্নদোষ হওয়ার পরেও সময়ের অভাবে গোসল না করে নাপাক অবস্থাতেই রোজাদার রোজার নিয়ত করে সেহরী খেতে পারে। এমন কি সেহরীর সময় শেষ হয়ে গেলেও আজানের পর গোসল করতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোজার শুরুর কিছু অংশ নাপাকে অতিবাহিত হলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না। অবশ্য নামাজেরর জন্য গোসল জরুরী। যা ফজর নামাজের আগেই গোসল করতে হবে তা আগেও বলা হয়েছে। আয়েশা ও উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কখনো কখনো স্ত্রী-মিলন করে অপবিত্র অবস্থায় ফজর হয়ে যেত। তারপর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমজান মাসে ইহতিলাম ছাড়াই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাবাত অবস্থায় ফজরের সালাতের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সাওম পালন করতেন। (সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ২৪৮০ হাদিসের মানঃ সহিহ)। এমতাবস্থায় সেহরী খেয়ে পরের দিন গোসল করলে নফল রোজা হবে। কিন্তু ফরজ গোসল বিলম্ব করার কারনে গুনাহগার হবে। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা যাবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ


গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সেহরি খেয়ে  নফল রোজা রাখলে  রোজা সহি হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময় মতো নামাজ আদায় করে নিতে হবে। সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (মুসলিম হাদিস নং ২৫৯২, বাদায়ে, ১/১৫১)

বিষয়টির প্রমাণ রাসুলের সহধর্মিণী উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিস— ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺣﻠﻢ، ﻓﻴﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ .

রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে অতিক্রম করতেন। অত:পর তিনি গোসল করে রোজা রাখতেন। [বোখারি : ১৮২৯, মুসলিম : ১১০৯।] রাসুলের অপর স্ত্রী উম্মুল মোমিনীন উম্মে সালামা রা. বর্ণনা করেন:— ﻛﺎﻥ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﺃﻫﻠﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ.

সহবাসের ফলে না-পাকি অবস্থায় রাসুল সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। [বোখারি : ১৯২৬]


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ