বাংলাদেশ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারদেরকে ভালোভাবে খেলতে পারে আর দ্রুত শুরুতে ওদের ২/৩ টি উইকেট ফেলতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ভালো কিছুই করবে। আর সম্ভাবনার কথা বললে আমি বাংলাদেশএর জয়ের সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ রাখব কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ সম্প্রতি হারিয়েছে। আর এই মানসিক চাপটা তাদের মাঝে কাজ করবেই যা একটি বড় বিষয়।
এবার বিশ্বকাপে উভয় দলই যথেষ্ট শক্তিশালী এতে সন্দেহ নাই|তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে বিশ্বের সেরা কিছু ব্যাটিং ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, হেটমেয়ার, নিকোলাস পুরান, কার্লোস ব্রাথওয়েটদের মত ক্রিকেটার| এ ধরণের ক্রিকেটার কোন দলে থাকলে যেকোন কোন কন্ডিশনে খেলার মোড় ঘুরে যেতে পারে|তাই সম্প্রতি বাংলাদেশ তাদের হারিয়ে সিরিজ জিতলেও দ্বিধা-দ্বন্দে থাকতে হচ্ছে| অন্য দিকে বাংলাদেশও যথেষ্ট শক্তিশালী দল যেকোন দলকে হারানোর সক্ষমতা রয়েছে|তাই সামনের ম্যাচের জয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০ মনে করি| তবুও কন্ডিশন বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবশ্য এগিয়ে রাখা যেতে পারে|ক্রিকেট অবশ্য অনিশ্চয়তার খেলা আগাম কোন কিছুই বলা সম্ভব নয়|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে আমার র্যাংকে এগিয়ে। তাছাড়া বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো টিম। বিশ্বকাপেও অনেক ভালো খেলতেছে। তাছাড়া তাদের চেয়ে আমাদের খেলোয়াররা অনেক অভিঙ্গ। এ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা খুব বেশী। তবে সমস্যা হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যে মাঠে খেলা হবে। সে মাঠটি খুব ছোট। আর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৮৫০০০ এর মতো। বাংলাদেশ দল হলো মূলত স্পিন নির্ভর। যেমন সাকিব ও মিরাজের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। আর আমাদের পেস এ্যটাক তেমন ভালো নয়। আর মাঠ যেহেতু ছোট, এজন্য টিম ম্যানেজমেন্ট ভয় পাচ্ছে স্পিনদের নিয়ে। আর ঐ মাঠে শেষ ম্যাচ ছিল পাকিস্তান ও অস্টেলিয়ার। দু টিম সেই ম্যাচে কোনো স্পিনারকে খেলাননি। আশা করি বুঝতে পেয়েছেন।
জেতার সম্ভাবনা ৫০-৫০। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাদের কিছু খেলোয়ার তখন খেলেনি। যেমন: গেইল, রাসেল, পুরান। আর যে মাঠে খেলা হবে তা অনেক ছোট মাঠ। তারা পাওয়ার হিটার। শরীলের জোরে বল খুব সহজেই ছয় মারতে পারে।
আর বাংলাদেশকে ৩০০+ রান করতে হবে। ভালো বোলিং করতে হবে। ভালো ফিল্ডিং করতে হবে। নিয়মিত উইকেট ফেলতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ জিতবে।