যে মেয়েরা শশুর শাশুড়ির সাথে থাকতে চায় না তারা ক্ষেত্র বিশেষ্যে খারাপ ভালো।কারণ একপাক্ষিক ভাবে কখনো খারাপ ভালো নির্ধারণ করা যায় না।যেমন অধিকাংশ যায়গায় শাশুরি নিজের ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মতো ভাবতে পারছেন না আবার বউও নিজের শাশুরিকে নিজের মায়ের মতো ভাবছে না, আর এটাই হচ্ছে মুল পয়েন্ট।সমাজে এটা এক তরফা দেখা যায় বেশি যেমন, ছেলের বউ শাশুরির ওরপ অত্যাচার করছে নয়তো শাশুরি ছেলের বউয়ের ওপর।আর এই চক্রটা অনেক বছর ধরে চলে আসছে,, যার ফলে অনেক মেয়েদের মধ্যে নিজের মতো করে সংসার চালানোর মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।কারণ নতুন প্রজন্ম আসার সাথে সাথে মেয়েরাও স্বাধীনচেতা হয়ে গেছে তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে জীবনটা সাজাতে চাইবে।আবার অনেক মেয়েদের ধারণা শশুর শাশুড়ি ছাড়া থাকলে সে তার পছন্দ,, অনুযায়ী তার সংসারটাকে সাজাতে পারবে।আর আমি ক্ষেত্র বিশেষ্যে বলার কারণ, আপনি যদি মেয়েটার দিক থেকে ভাবেন তাহলে আপনার মনে হবে মেয়েটি ঠিক করছে আর আপনি যদি বাবা মায়ের দিক থেকে দেখেন তাহলে আপনার মনে হবে মেয়েটি ভুল করেছে।এবার ভালো খারাপ আপনি নির্ধারণ করুন।ধন্যবাদ..

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে থাকা,

অনুরূপ শ্বশুর-শাশুড়ি সহ ননদ-দেবরের সেবাও স্ত্রীর একটি অতিরিক্ত কাজ। এটা তার দায়িত্ব নয়। কিন্তু বর্তমান সমাজ বিষয়টাকে কিভাবে দেখছে? মনে করা হয়, এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব বরং এটিই যেন তার প্রধান দায়িত্ব। ছেলের জন্য বউ আনাই হয় শ্বশুর-শাশুড়ির সেবার জন্য। এ সবই পরিমিতিবোধের চরম লঙ্ঘন। মা-বাবার সেবা করা সন্তানের দায়িত্ব, পুত্রবধূর নয়। (আল-বাহরুর রায়েক ৪/১৯৩, কিফায়াতুল মুফতি ৫/২৩০)

তবে এখানে অবশ্যই স্মরণীয় যে, যদি স্বামীর মা-বাবার খেদমতের প্রয়োজন হয়, তাহলে স্বামীর কর্তব্য হলো তাঁদের সেবা-যত্ন করা। তবে কোনো স্ত্রী যদি সন্তুষ্টচিত্তে স্বামীর মা-বাবার সেবা করেন, এটা তাঁর পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এর বিনিময়ে তিনি অনেক সওয়াব পাবেন। তবে এসব করতে আইনত তিনি বাধ্য নন। যদিও কাম্য এটাই যে স্বামীর মা-বাবাকে নিজের মা-বাবার মতো সম্মান ও সমীহের চোখে দেখবেন। তাঁদের মনেপ্রাণে ভালোবাসবেন এবং তাঁদের সেবা করতে পারাকে নিজের জন্য পরম সৌভাগ্য মনে করবেন। অনুরূপ শ্বশুর-শাশুড়িও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতো আদর ও খাতির করবেন। তার সুখ-সুবিধার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন।(কিন্তু  এটা হয়না) যে কারণে  আজ এতো দন্ধ আর কলহ৷ 

আমাদের সমাজের আবহমান কালের চলমান রীতি হলো, যৌথ পরিবারগুলোতে পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়ির সেবাযত্ন করে থাকেন। এটাকে পারিবারিক দায়িত্ব হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। গ্রামগঞ্জে দেখা যায়, শ্বশুর-শাশুড়ির সংসার থেকে আলাদা হলেও পুত্রবধূদের তাঁদের দেখাশোনা করতে হয়।

শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কের ব্যাপারটা আসলে নতুন কোনো বিষয় নয়। মানবসভ্যতার শুরু থেকেই এই সম্পর্ক চলে এসেছে। কোরআন ও সুন্নাহ থেকে আমরা বিভিন্ন মানবিক সম্পর্কের সীমা-পরিসীমা, দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে জ্ঞান পাই। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই সম্পর্কের দায়িত্বগুলো কখনো একপক্ষীয় হলে চলে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয়, আমরা কেবল নিজের অধিকার আর পাওনাগুলো নিয়েই ভাবি, কর্তব্য নিয়ে ভাবতে চাই না। আর তখনই সংসারে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে।

সুতরাং -স্ত্রী "শাশুড় শাশুড়ির কাছে থাকলেই  ভালো/না থাকলেই খারাপ এমন নয়৷ বরং শাশুড় শাশুড়ী  যদি তার প্রতি সব দায়িত্ব পালন করার পরও সে পৃথক থাকে, নিশ্চয় সে ভাল না৷আর যদি শাশুড় শাশুড়ী শুধু তাকে তাদের অধিকারের বলে আটকে রাখে, নিশ্চয় তার পৃথক থাকতে হয়৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ