ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য হতে আমাদের দেশে ইফতার সূর্যাস্তের ৩ মিনিট পর করা হয়। যেমন- আজকে সূর্যাস্ত ৬ঃ৩৭ এ হলেও মাগরিবের আজান ৬ঃ৪০ এ হয়। তারপর সবাই ইফতার করে। 

ইফতার কি সূর্যাস্তের সাথে সাথে করতে হয়? দেরিতে ইফতার করলে কি হয়?
সহিহ হাদিস/কুরআন অনুযায়ী উত্তর দিবেন? 

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সত্বর ইফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাতে আমাদের মঙ্গল আছে। তিনি বলেন, লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা সূর্য ডোবার পর নামাযের আগে ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। যেহেতু ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা রোযা রেখে দেরী করে ইফতার করে, তাই তিনি আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা দেরী করে ইফতার করে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল ছিল জলদি ইফতার করা। সময় হওয়ার সাথে সাথে শীঘ্র ইফতার করা নবুঅতের একটি আদর্শ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরী করে (শেষ সময়ে) সেহরী খাওয়া এবং নামাযে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা। বলা বাহুল্য, স্থানীয়ভাবে সূর্যের বৃত্তির সমস্ত অংশটা অদৃশ্য হয়ে (অস্ত) গেলে রোযাদারের উচিৎ, সাথে সাথে সেই সময় ইফতার করা। আর এ সময় নিম্ন আকাশে অবশিষ্ট লাল আভা থাকলেও তা দেখার নয়। যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রাত যখন এদিক (পূর্ব গগণ) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিক (পশ্চিম গগণ) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোযাদার ইফতার করবে। অতএব দেখার বিষয় হল সূর্যাস্ত; আযান নয়। সুতরাং রোযাদার যদি স্বচক্ষে দেখে যে, সূর্য ডুবে গেছে কিন্তু মুআজ্জিন এখনো আযান দেয়নি, তাহলেও তার জন্য ইফতার করা বৈধ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ