মনের মধ্যে দুনিয়াবী কথা আসলেই নামায ভেঙ্গে যাবে এমনটি নয়। বরং আপনি নিশ্চয় পড়েছেন নামাযে দুনিয়াবী বিষয়ের দুআ করলে নামায ভেঙ্গে যায়। এক হল দুআ করা, আরেক হল মনের মাঝে দুআ আসা। দুটি কিন্তু এক জিনিস নয়।
মনের উপর মানুষের কন্ট্রোল কম। কিন্তু মুখে বলার উপর মানুষের পূর্ণ কন্ট্রোল থাকে।
তাই মনে আসলেই নামায ভেঙ্গে যাবে না। তবে মুখ দিয়ে দুনিয়াবী বিষয়ের দুআ মুখে উচ্চারণ করলে নামায ভেঙ্গে যাবে।
সেজদার মাঝেই কেবল হাদীসে ও কুরআনে বর্ণিত দুআ, কিংবা আখেরাতে কল্যাণের জন্য দুআ করা যাবে।
আর নামাযের ভিতরে দুনিয়াবী বিষয়ের কথা মনে হলে আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু হবে। আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখতে পাচ্ছেন। আমি আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে আছি। এমন মানসিকতা তৈরী করতে পারলে মনের মাঝে ওয়াসওয়াসা আসবে না ইনশাআল্লাহ।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন
إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»
নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের মনে যা আসে সে ব্যপারে তাদের [পাকরাও করা থেকে] মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ না উক্ত কাজটি সে করে বা বলে ফেলে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২৬৯]
সুত্র:এখানে দেখুন