শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যদি কোন ব্যক্তি পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয় যেমন:  এমন অসুস্থ পানি ব্যবহার করলে রোগ বৃদ্ধির আসংখ্যা আছে অথবা পানি তার থেকে এক মাইল দূরে হয়, তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারবে। চাই তায়াম্মুম টা  নামাজের জন্য হোক বা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য হোক, সব করতে পারবে। আরো জানতে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন।


https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://m.priyo.com/articles/%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25B2-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25A7%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A3-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%2582-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%259F&ved=2ahUKEwikwJShv5jiAhWIMI8KHaB4AdYQFjADegQIBhAB&usg=AOvVaw1_B6jOoBkaKC3wNAazxGHI
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে ওযুর বিকল্প হিসাবে তায়াম্মুমের বিধান রাখা হয়েছে। তায়াম্মুমের তিনটি ফরজ।(1) নিয়ত করা (2) দুই হাত মাটি দিয়ে মাসাহ করা (3) সমস্ত মুখ মাটি দিয়ে মাসাহ করা। যখন কেউ তীব্র অসুস্থ হয় যে পানি ব্যবহারে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে অথবা প্রাণ নাশের আংশকা হয় তখন তায়াম্মুম করা জায়েজ। আবার আশেপাশে এক দু মাইলেও পানি খুজে না পেলে তায়াম্মুম করা যাবে। পানি দিয়ে ওযু করলে খাওয়ার পানি থাকবে না, তখনও তায়াম্মুম করা যাবে। এমন আরো কিছু ওযর আছে, যে কারণে ওযুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, বা তোমরা স্ত্রীর সাথে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। সুতরাং তা দ্বারা মুখমণ্ডলে ও হাতে মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (মায়েদাঃ ৬) যে অবস্থায় তায়াম্মুম বৈধঃ ১। একেবারেই পানি না পাওয়া গেলে। ২। অসুস্থ থাকলে অথবা দেহে কোন প্রকার ক্ষত বা ঘা থাকলে এবং পানি ব্যবহারে তা বেড়ে যাওয়া বা সুস্থ হতে বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা হলে। ৩। পানি অতিরিক্ত ঠান্ডা হলে এবং তাতে ওযু-গোসল করাতে অসুখ হবে বলে দৃঢ় আশঙ্কা হলে, পরন্তু পানি গরম করার সুযোগ বা ব্যবস্থা না থাকলে তায়াম্মুম বৈধ। ৪। পানি ব্যবহারে ক্ষতি না হলে এবং পানি নিকটবর্তী কোন জায়গায় থাকলেও তা আনতে জান, মাল বা ইজ্জতহানির আশঙ্কা হলে তায়াম্মুম করা বৈধ। তায়াম্মুমের আনুষঙ্গিক মাসায়েলঃ খোঁজার পর পানি না পাওয়া গেলে ওয়াক্ত শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই তায়াম্মুম করে নামায পড়া উচিৎ। শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত পানির অপেক্ষা করা বা পানি খোঁজা জরুরী নয়। আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়ে শেষ ওয়াক্তে পানি পাওয়া গেলেও নামায পুনরায় পড়তে হবে না। (সিঃ সহীহ ৬/২৬৫-২৬৮) পানি খোঁজাখুঁজি না করেই তায়াম্মুম করে নামায পড়লে এবং পানি তার আশে-পাশে মজুদ থাকলে নামায বাতিল গণ্য হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২২০) হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, দুই ব্যক্তি সফরে বের হল। নামাযের সময় হলে তাদের নিকট পানি না থাকার কারণে তায়াম্মুম করে উভয়েই নামায পড়ে নিল। অতঃপর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই তারা পানি পেয়ে গেল। ওদের মধ্যে একজন পানি দ্বারা ওযু করে পুনরায় ঐ নামায ফিরিয়ে পড়ল। কিন্তু অপর জন পড়ল না। তারপর তারা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর নিকট এলে ঘটনা খুলে বলল। তিনি যে নামায ফিরিয়ে পড়েনি তার উদ্দেশ্যে বললেন, তোমার আমল সুন্নাহর অনুসারী হয়েছে এবং তোমার নামাযও যথেষ্ট (শুদ্ধ) হয়ে গেছে। আর যে ওযু করে নামায ফিরিয়ে পড়েছিল, তার উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, তোমার জন্য ডবল সওয়াব। (আবূ দাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাতঃ ৫৩৩) প্রকাশ যে, সুন্নাহ জানার পর ডবল করে নামায বৈধ নয়। (আলমুমতে, শারহে ফিকহ, ইবনে উষাইমীন ১/৩৪৪) ওযু ও গোসলের পর যে কাজ করা বৈধ, তায়াম্মুমের পরও সেই কাজ করা বৈধ হয়। যেহেতু তায়াম্মুম ওযু-গোসলের পরিবর্ত। পানি বা মাটি কিছু না পাওয়া গেলে বিনা ওযু তথা তায়াম্মুম করেই নামায পড়তে হবে। (বুখারীঃ ৩৩৬) ঘরে খোঁজাখুঁজির পর পানি না পাওয়া গেলে এবং নামাযের সময় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা হলে তায়াম্মুম করে নামায পড়তে হবে। (বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ১/৫২৫-৫২৬) পক্ষান্তরে পানি মজুদ থাকলে নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও ওযু-গোসল করে নামায পড়তে হবে। ঐ সময় তায়াম্মুম করে নামায হবে না। একই তায়াম্মুমে কয়েক ওয়াক্তের নামায পড়া সিদ্ধ। (আলমুমতে, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ১/৩৪০) সিদ্ধ না হওয়ার ব্যাপারে আসার গুলো শুদ্ধ নয়। যে যে কারণে ওযু নষ্ট হয়, ঠিক সেই সেই কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যায়। কারণ তায়াম্মুম হল ওযুর বিকল্প। এ ছাড়া যে অসুবিধার কারণে তায়াম্মুম করা হয়েছিল, সেই অসুবিধা দূর হয়ে গেলেই তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যায়। যেমন পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করলে পানি পাওয়ার সাথে সাথে তায়াম্মুম শেষ হয়ে যায়। অসুখের কারণে করলে, অসুখ দূর হয়ে যাওয়ার পর পরই আর তায়াম্মুম থাকে না। (ফিকহুস সুন্নাহ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ