Call

সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মিলাদুন্নবী পালনীয় তো নই বরং তা বর্জনীয় । তাহলে হক উলামায়ে কেরামের মতে বর্তমানে এটি একটি বিদআত । কারন রসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় ও তার ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম কেও তা পালন করেননি এব রসূল সাঃ হাদীসে কোথাও তা পালন করতে বলেননি  । সুতরাং তা পালন না করাই উত্তম। পালন না করলে কিছুই হবেনা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছে রাসুলুল্লাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা, তাহার পূত-পবিত্র সম্মানিত জীবনী এবং সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে কি? জনাব! মিলাদুন্নবী বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিবস পালন একটি বিদআত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা তার সাহাবীগণ অথবা তাবেয়ীগণ হতে এই দিবস পালনের অনুমোদনমূলক কোন উদ্ধৃতি পাওয়া যায় না। তাই এগুলো পরিহার করাই বাঞ্ছনীয়। কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল ও মুসলমানদের ইজমার ভিত্তিতে জানা যায় যে, ইসলামে উৎসব শুধু দুটি। যথাঃ ঈদুল ফিতর রোযা ভঙ্গের উৎসব ও ঈদুল আযহা পশু উৎসর্গের উৎসব। এ দুটি ছাড়া আর যত উৎসব আছে সেটা কোন ব্যক্তির সাথে, কোন গোষ্ঠীর সাথে, কোন ঘটনার সাথে বা বিশেষ কোন ভাবাবেগের সাথে সংশ্লিষ্ট হোক না কেন সেটা বিদআতি তথা নবউদ্ভাবিত উৎসব। এ ধরনের কোন উৎসব পালন করা, পালনে সম্মতি দেয়া বা কোনভাবে সহযোগিতা করা অথবা সেই দিনে খুশি প্রকাশ করা কোন মুসলমানের জন্য জায়েয নয়। কেননা এটি আল্লাহর সীমারেখার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমারেখা লঙ্ঘন করে সে নিজের উপর নিজেই জুলুমকারী। এই বিদআতী ঈদ বা নবপ্রচলিত উৎসব এগুলো ইসলামি শরিয়তে নব-সংযোজন; যেগুলোর পক্ষে আল্লাহ তাআলা কোন দলিল-প্রমাণ নাযিল করেননি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নব-প্রচলিত বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ প্রতিটি অভিনব বিষয়— বিদআত। আর প্রতিটি বিদআত হচ্ছে— ভ্রান্তি। (মুসনাদে আহমাদ, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযি) তাই কেউ যদি সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন না করে এটাই তার জন্য ভাল হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
seyamchow

Call

যদি কেউ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন না করে তার কি পরিণতি হবে?
=================================================

মহান আল্লাহ পাক বলেন- তোমরা আমার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় কর,আমি তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দিব। আর মহান আল্লাহ পাক উনার দেওয়া নিয়ামতকে যদি কেউ অস্বীকার করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তাকে এমন কঠিন শাস্তি দিবেন,যা বিশ্বজগতে আর কাউকে দিবেন না। ইন্না আ’যাবি লা শাদীদ।
সুতরাং, সমস্ত কুলমাখলুকাতের মধ্যে আল্লাহপাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছেন- আমাদের নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই নিয়ামতকে অস্বীকার করার কি পরিণতি আশা করি বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ