Rubidium

Call

সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।এটিল ফজিলত অনেক।সূরা ইখলাসের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস রয়েছে। সুতরাং আপনি ২০০ বার কিংবা এর চেয়ে কম-বেশি তেলাওয়াত করতে পারেন। নির্ভরযোগ্যসূত্রে প্রমাণিত সূরা ইখলাসের ফজিলতসমূহ নিম্নে পেশ করা হল–

১। কাতাদা ইবনু নুমান রাযি.বলেছেন, রাসূল  এর সময় এক ব্যক্তি শেষ রাতে সালাতে শুধুমাত্র “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ছাড়া আর কোনো সূরাই তিলাওয়াত করেন নি। পরদিন সকালে কোন এক ব্যক্তি রাসূল -এর কাছে আসলেন। তখন রাসূল  বললেন, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। এ সূরা হচ্ছে সমগ্র কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি ৪৬৪৫)

২। আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ তাঁর সাহাবীদেরকে বলেছেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে কোরআনের এ-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অসাধ্য মনে কর? এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে, এমনটি পারবে? তখন তিনি বললেন,  “কুল হুআল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ সূরা ইখ্‌লাস কোরআন শরীফের এক-তৃতীয়াংশ। (বুখারি ৪৬৪৬)

৩। আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের আমীর করে জিহাদে পাঠালেন। তিনি যখন নামাজে ইমামতি করতেন, তখনই (প্রত্যেক রাকআতে সূরা পড়ার পর) ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) দিয়ে (কিরাআত) শেষ করতেন। মুজাহিদগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবি ﷺ এর খিদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’ সুতরাং তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই সূরাটিতে পরম করুণাময় (আল্লাহ)র গুণাবলী রয়েছে। এই জন্য সূরাটি তেলাওয়াত করতে আমি ভালবাসি।’ তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালবাসেন।’ (বুখারি ৭৩৭৫, মুসলিম ৮১৩, নাসায়ি ৯৯৩)

৪। আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস পড়তে দেখে বলেন,  ‘অবধারিত হয়ে গিয়েছে’। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘কী অবধারিত হয়ে গিয়েছে?’ রাসূলুল্লাহ ﷺ উত্তর দিলেন, ‘তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গিয়েছে’। (মুসনাদ আহমদ ৭৬৬৯)

৫। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,


‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।’ (সহিহ জামে সগীর ৬৪৭২)

৬। আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,


নবী  প্রত্যেক রাতে যখন ঘুমাবার জন্য শয্যা গ্রহণ করতেন তখন দু’ হাতের চেটো একত্রে জমা করতেন এবং তাতে তিন ক্বুল পড়ে ফুঁ দিতেন। তারপর তার দ্বারা দেহের ওপর যতদূর সম্ভব বোলাতেন; মাথা, চেহারা ও দেহের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। এরূপ তিনি তিনবার করতেন। (বুখারি৪৪৩৯)

৭। উবাই ইবনু কাব রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,


রাসূলুল্লাহ  বিতরের নামাযে সূরাহ আলা, সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। (ইবন মাজাহ ১১৭১

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ