'আসতাগফিরুল্লাহ' অর্থ→ আমি মহান
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
ফজিলতঃ
(১) নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা,
তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো
এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা
করি ও ক্ষমা চাই।’ (নাসাঈ)।
(২) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেউ সবসময়
এস্তেগফার আঁকড়ে ধরলে আল্লাহ তার প্রতিটি
সংকটে পথ খুলে দেন, তাকে সব দুশ্চিন্তা
থেকে মুক্ত করেন এবং তাকে এমনভাবে
জীবিকা দান করেন, সে ধারণাও করতে পারে
না।’ (আবু দাউদ)
(৩) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা গোনাহ করে বলল,
হে রব, আমি পাপ করে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা
করো। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা
জেনেছে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ ক্ষমা
করেন এবং পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে
ক্ষমা করে দিলাম।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
(৪)
হাদিসে আরও এসেছে,
‘কেউ শুক্রবার ফজরের আগে যদি তিনবার বলে
‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কায়্যুম
ওয়া আতুবু ইলাইহি’ তবে তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনা
সমান হলেও তা ক্ষমা করে দেয়া হয়।’
(৫) আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ হাদিসে
কুদসিতে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, তোমরা দিনে-
রাতে ভুল করে থাক, আর আমি সব পাপ ক্ষমা করি।
তাই তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি
তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)।
(৬) তাই তোমরা ক্ষমা
প্রার্থনা ও তওবার দিকে ধাবিত হও। তবেই আল্লাহর
দয়া ও অনুগ্রহ দেখতে পাবে; পাপ মোচন হবে;
মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর
কসম! যদি তোমরা গোনাহ না করো তবে আল্লাহ
তোমাদের বাদ দিয়ে এমন এক জাতি সৃষ্টি করবেন,
যারা গোনাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, তিনি
তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)।