আর আমি নামায পড়ি এখন হস্তমৈথুন করার  কারনে কি নামাজ হবে না? আমি জানি হস্তমৈথুন পাপ,  তারপরেও করি।  কি করবো? হস্তমৈথুন করে কি নামাজ হবে আর আমি পবিত্র অবস্থা নামায পড়ি আমার জীবন কি শেষ? এই হস্তমৈথুনের কারনে কি করবো? তাওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন কি? আর এই বদঅভ্যাস কিভাবে ছাড়া যায়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। ভাই আপনি হয় প্রশ্ন করছেন যে হস্তমৈথুন করলে নামাজ হবে কি,, ভাই হস্তমৈথুন করার পর যদি পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ পড়েন তাহলে নামাজ হবে,, তবে এটার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করতে হবে আল্লাহতালা গাফুরুর রহিম মাফ করে দিতে পারেন,,,আলহামদুলিল্লাহ। কুরআন ও সুন্নাহ্‌র দলিলের ভিত্তিতে হস্তমৈথুন করা হারাম: এক. কুরআনে কারীম: ইবনে কাছির (রহঃ) বলেন: ইমাম শাফেয়ি এবং যারা তাঁর সাথে একমত পোষণ করেছেন তারা সবাই এ আয়াত দিয়ে হস্তমৈথুন হারাম হওয়ার পক্ষে দলিল দিয়েছেন। আয়াতটির ভাবানুবাদ হচ্ছে- “আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।”[সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬] ইমাম শাফেয়ি ‘নিকাহ অধ্যায়ে’ বলেন: ‘স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য সবার থেকে লজ্জাস্থান হেফাযত করা’ উল্লেখ করার মাধ্যমে স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কেউ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আয়াতটি সুস্পষ্ট। এরপরও আয়াতটিকে তাগিদ করতে গিয়ে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ): “যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” সুতরাং স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করা বৈধ হবে না, হস্তমৈথুনও বৈধ হবে না। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।[ইমাম শাফেয়ি রচিত ‘কিতাবুল উম্ম’] কোন কোন আলেম এ আয়াত দিয়ে দলিল দেন: “যারা বিবাহে সক্ষম নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।”[সূরা নূর, আয়াত: ৩৩] এ আয়াতে সংযমের নির্দেশ দেয়ার দাবী হচ্ছে– অন্য সবকিছু থেকে ধৈর্য ধারণ করা। দুই. সুন্নাহ্‌: আলেমগণ এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ্‌ বিন মাসউদ (রাঃ) এর হাদিস দিয়ে দলিল দেন যে, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আমরা এমন কিছু যুবকে ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার باءة (বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য) রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।”[সহীহ বুখারী (৫০৬৬)] শরিয়ত প্রণেতা, বিয়ে করতে অক্ষম হলে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রোযা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। হস্তমৈথুন করার পরামর্শ দেননি। যদিও হস্তমৈথুনের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে, হস্তমৈথুন করা রোযা রাখার চেয়ে সহজ। কিন্তু তদুপরি তিনি সে অনুমতি দেননি। এ মাসয়ালায় আরও অনেক দলিল আছে। আমরা এ দলিলগুলো উল্লেখ করাই যথেষ্ট মনে করছি। হস্তমৈথুনে লিপ্ত ব্যক্তি কিভাবে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন এ সম্পর্ক নিম্নে আমরা কিছু উপদেশ ও পদক্ষেপ উল্লেখ করব: ১। এই অভ্যাস থেকে বাঁচার প্রেরণা যেন হয় আল্লাহ্‌র নির্দেশ পালন ও তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা। ২। স্থায়ী সমাধান তথা বিয়ের মাধ্যমে এ অভ্যাসকে প্রতিরোধ করা। কারণ এটাই ছিল যুবকদের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ। ৩। নানা রকম কু-চিন্তা ও খারাপ ভাবনা থেকে দূরে থাকা। দুনিয়া বা আখেরাতের কল্যাণকর চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কারণ কু-চিন্তাকে বাড়তে দিলে সেটা এক পর্যায়ে কর্মের দিকে নিয়ে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রয়ের বাইরে গিয়ে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন তা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ৪। দৃষ্টিকে নত রাখা। কারণ কোন ব্যক্তি বা অশ্লীল ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করা, সেটা জীবিত মানুষের হোক কিংবা আঁকা হোক, বাঁধহীন দৃষ্টি ব্যক্তিকে হারামের দিকে নিয়ে যায়। এ কারণে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেন: “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে”[সূরা নূর, আয়াত: ৩০] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তুমি দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবে না”[সুনানে তিরমিযি (২৭৭৭), আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন] তাই প্রথম দৃষ্টি, যে দৃষ্টি হঠাৎ করে পড়ে যায় সেটাতে গুনাহ না থাকলেও দ্বিতীয় দৃষ্টি হারাম। এছাড়া যে সব স্থানে যৌন উত্তেজনা জাগিয়ে তোলার উপকরণ বিদ্যমান থাকে সেসব স্থান থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। ৫। নানাবিধ ইবাদতে মশগুল থাকা। পাপকাজ সংঘটিত হওয়ার মত কোন অবসর সময় না রাখা। ৬। এ ধরণের কু-অভ্যাসের ফলে যেসব শারীরিক ক্ষতি ঘটে থাকে সেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। যেমন- দৃষ্টিশক্তি ও স্নায়ুর দুর্বলতা, প্রজনন অঙ্গের দুর্বলতা, মেরুদণ্ডের ব্যথা ইত্যাদি যেসব ক্ষতির কথা চিকিৎসকরা উল্লেখ করে থাকেন। অনুরূপভাবে বিভিন্ন মানসিক ক্ষতি; যেমন- উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মানসিক পীড়া অনুভব করা। এর চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে- নামায নষ্ট করা। যেহেতু বারবার গোসল করা লাগে, যা করা কঠিন। বিশেষতঃ শীতের রাত্রিতে। অনুরূপভাবে রোযা নষ্ট করা। ৭। ভুল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি পরিতুষ্টি দূর করা। কারণ কিছু কিছু যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার ধুয়া তুলে এই কু-অভ্যাসকে জায়েয মনে করে। অথচ হতে পারে সে যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতার নিকটবর্তী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। ৮। কঠিন ইচ্ছা ও শক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। শয়তানের কাছে হার না মানা। একাকী না থাকা; যেমন একাকী রাত কাটানো। হাদিসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন।[মুসনাদে আহমাদ, হাদিসটি ‘সহিহুল জামে’ তে রয়েছে] ৯। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করা; সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে এবং যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে। এর সাথে উদ্ভট আচরণ থেকে সাবধান থাকা; যেমন- হস্তমৈথুন পুনরায় না করার ব্যাপারে শপথ করা কিংবা মানত করা। কারণ যদি কেউ পুনরায় করে ফেলে তাহলে সে ব্যক্তি পাকাপোক্ত-শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে যৌন উত্তেজনা নিরোধক ঔষধ সেবন না করা। কেননা এসব ঔষধ সেবনে শারীরিক ঝুঁকি আছে। তাছাড়া যৌন উত্তেজনা একেবারে নিঃশেষ করে ফেলে এমন কিছু সেবন করা থেকে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা সাব্যস্ত হয়েছে। ১০। ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলা। যেমন- ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধ আছে। ১১। ধৈর্য ও সংযমের গুণে নিজেকে ভূষিত করা। কারণ হারাম কাজ থেকে ধৈর্য রাখা আমাদের উপর ফরয; যদিও আমাদের মাঝে সেগুলো করার চাহিদা থাকে। আমাদের জানা উচিত, যদি আমরা নিজেকে সংযমী রাখার চেষ্টা করি তাহলে পরিশেষে সেটা ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য আখলাকে পরিণত হবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সংযম অবলম্বন করে আল্লাহ্‌ তাকে সংযমী বানিয়ে দিবেন, যে ব্যক্তি অমুখাপেক্ষী থাকার চেষ্টা করবেন আল্লাহ্‌ তাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য রাখার চেষ্টা করবেন আল্লাহ্‌ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দিবেন। কোন মানুষকে ধৈর্যের চেয়ে প্রশস্ত ও কল্যাণকর আর কোন দান দেয়া হয়নি।”[সহিহ বুখারী (১৪৬৯)] ১২। কেউ যদি এই গুনাহটি করে ফেলে তাহলে তার উচিত অনতিবিলম্বে তওবা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, নেকীর কাজ করা এবং ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে হতাশ না হওয়া। কেননা এ পাপটি একটি কবিরা গুনাহ। ১৩। সর্বশেষ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র কাছে ধর্ণা দেয়া, দোয়ার মাধ্যমে তাঁর কাছে মিনতি করা, তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এই কু-অভ্যাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায়। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা দোয়াকারীর ডাকে সাড়া দেন। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।।। আরো জানার বাকি থাকলে প্রশ্ন করুন আর ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMAsadullah

Call

প্রথমেই বুজতে হবে হস্থমৈথুন একটা বাজে অব্যাস। 

এর থেকে দুরে থাকতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। 


হস্থমৈথুন এর ক্ষতিসমুহঃ

  1. অকাল বীর্য পাত।
  2. বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া।
  3. চখের ক্ষতি হওয়া।
  4. মেধা শক্তি কমে যায়।
  5. মাথার ব্যাথা হয়।
  6. হজম শক্তি কমে যায় ইত্যাদি


প্রতিকারঃ         

  1. পর্ন জাতীয় কিছু দেখবেন না।
  2. কু মন্ত্রনা মনে অানবেন না।
  3. দিনের বেলা ঘুম ব্যতীত কোন কাজ না 

           থাকলে বাহিরে হাটুন।

      4.উত্তেজিত হলে সাথে সাথে ঘর থেকে 

           বাহিরে বের হউন।

      5.খেলা ধুলা করুন। কন্ট্রল হবে ইনশাআল্লাহ।


অাল্লাহ বান্দাকে মাফ করার জন্য চাহিয়া অাছে।

 খালেছ দিলে তওবা করেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সামপ্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শতকরা ৯৫ জন পুরুষ এবং শতকরা ৮৯ জন নারী হস্তমৈথুন বা স্বমেহনে অভ্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারী এবং পুরুষ প্রথম যৌনমিলনের স্বাদ গ্রহণ করে স্বমেহনের মাধ্যমে। নিয়মিত যৌনসঙ্গীর অভাবে বহু পুরুষ এবং বহু নারী স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি খুবই সাধারণ যৌনতার আচরণ অনেক পুরুষ ও নারী ছোটবেলাতেই স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। হয়তো তাদের মনের অজান্তেই তারা এই আনন্দটি উপভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ★হস্তমৈথুন কাকে বলেঃ ছেলেদের হস্তমৈথুনের সাধারন পদ্ধতি হল – লিঙ্গ হাতের মুঠোয় নিয়ে সামনে ও পিছনে সজোরে সঞ্চালন করা । ফলে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে লিঙ্গের মুন্ডে চাপ কমে ও বাড়ে । সেই সঙ্গে লিঙ্গকে মাঝখানে রেখে উরূদুটি সামনে ও পিছনে রগরানো । কখনো বালিশে, গোটানো বেডশিটে, তোশকে বা এ জাতীয় কোন বস্তুতে, তীব্র জলের ধারা দিয়েও হস্তমৈথুনকরে থাকে অনেকেই । হস্তমৈথুন শুধু কম বয়ষ্কদের জন্য নয়, এটি বিবাহ-পূর্ব জীবন পর্যন্ত সকল অবিবাহিত নারী পুরুষের জন্য একটি স্বাভাবিক যৌনাচার। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৭০ থেকে ৯০ ভাগ নারী পুরুষ হস্তমৈথুন করে থকেন। হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই না অভ্যাসটিই এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। যারা নিদারুন হস্তমৈথুন অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়েছেন এবং ত্যাগ করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করা সত্তেও ছাড়তে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই লেখা। ★ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের পরিণামঃ অনেকেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিদ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলোঃ ১.শারীরিক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা। ২.যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া। ৩.শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন। ৪.হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোঁখে ঘোলা দেখতে পারেন। তবে, যারা হস্তমৈথুনেঅভ্যস্ত, তাদের পক্ষে হঠাৎ করে হস্তমৈথুন ত্যাগকরা সম্ভব নয়। তাই ধীরে ধীরে হস্তমৈথুন ত্যাগ করুন এবং অকাল বীর্যপাত রোধ করুন। ★হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপসঃ ► কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন। ► মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। ► যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। ► ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান। করতেই থাকুন। ► যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন। ► কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে। ► যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে্র প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন। ► হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়। ► যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন৷ ► হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ► সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন। ► ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে। ► সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না। ► ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। ► যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন। ► বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন। ► যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন। ► বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান। ►ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। ► নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন। ► রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই। ► কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু ভাল কাজ করার চেষ্টা করুন। ► উপুর হয়ে শুয়ে ঘুমাবেন না। ► বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না। ► গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি যে সমস্যাটির কথা উল্লেখ করেছেন সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আপনার প্রথমে যেটা প্রয়োজন তা হলো "তীব্র ইচ্ছাশক্তি"। অনেকসময়ই দেখা যায় যে ইচ্ছা থাকার পরেও কেউ কেউ সমস্যাটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এতে পাপ যেমন হয় তেমনি শারীরিক কিছু ক্ষতিও হয়।

মানসিক অবস্থাও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। (যেমনঃ স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা,ইত্যাদি)

যাইহোক,আপনি যেহেতু বলছেন আপনি সালাত আদায় করেন কিন্তু কু-অভ্যাসটি ছাড়তে পারছেন না এর মানে হলো আপনি সালাতে যথেষ্ট মনোযোগী নন। যদি মনোযোগী হন,তবে অবশ্যই আপনি সব ধরণের অশ্লীলতা থেকে ফিরতে পারবেন আপনার স্বাভাবিক জীবনে।

কারণ, সালাত সব ধরণের অশ্লীলতা থেকে ব্যক্তিকে বিরত রাখে।


সালাতে আপনার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন প্রচন্ড আন্তরিকতা ও ভয়ের সঙ্গে। ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ