ওযু করে উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে সেই ওযু দিয়ে নামাজ পড়া অনুচিত। কেননা ইসলামে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েজ নয়। এ বিষয়ে রাসুল (সঃ) বলেছেন, "আল্লাহ তাআলা লজ্জাশীল ও গোপনীয়তা রক্ষাকারী এবং লজ্জা ও গোপনীয়তাকে ভালোবাসেন। সুতরাং তোমরা পর্দার সাথে গোসল কর।" সূনান আবু দাউদ। হাদিস নম্বরঃ ৩৯৭১ হাদিসের মানঃ (সহিহ) ইসলাম যা সমর্থন করেনা তা না করাটাই উচিত।
এরকম স্পষ্ট হাদিস নেইঃ তবে অজু করে উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে সেই অজুতে সালাত হবে। সালাতে গুপ্ত অঙ্গ আবৃত করাই হচ্ছে মুল কথা। এটি ছাড়া সালাতই হয় না। তবে গোসল করার সময় পর্দা করতে হবে। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৪০৯) আল্লাহ তাআলার বাণীঃ হে বনী আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় তোমরা সুন্দর পোষাক গ্রহণ কর। (সূরা আরাফঃ ৩১)। আয়াতে পোষাককে ‘যীনাত’ বা সাজ-সজ্জা শব্দের মাধ্যমে এ জন্যই ব্যক্ত করা হয়েছে যে, সালাতে শধু গুপ্ত অঙ্গ আবৃত করা ছাড়াও সামর্থ অনুযায়ী সাজ-সজ্জার পোষাক পরিধান করা শ্ৰেয়। হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু সালাতের সময় উত্তম পোষাক পরিধানে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি বলতেনঃ আল্লাহ তাআলা সৌন্দর্য পছন্দ করেন, তাই আমি প্রতিপালকের সামনে সুন্দর পোষাক পরে হাজির হই। যে গুপ্ত-অঙ্গ সর্বাবস্থায় বিশেষতঃ সালাত ও তাওয়াফে আবৃত করা ফরয। তবে তার সীমা কি? কুরআনুল কারিমে সংক্ষেপে গুপ্ত-অঙ্গ আবৃত করার নির্দেশ দিয়ে এর বিবরণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন যে, পুরুষের গুপ্তাঙ্গ নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের গুপ্তাঙ্গ মুখমন্ডল, হাতের তালু এবং পদযুগল ছাড়া সমস্ত দেহ। হাদীস সমূহে এসব বিবরণ বর্ণিত রয়েছে। এ হচ্ছে গুপ্ত অঙ্গের ফরয সম্পর্কিত বিধান। এটি ছাড়া সালাতই হয় না। সালাতে শুধু গুপ্ত অঙ্গ আবৃত করাই কাম্য নয়; বরং সাজ-সজ্জার পোষাক পরিধান করতেও বলা হয়েছে। যেমন সাদা পোষাক, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পোষাকাদির মধ্যে সাদা পোষাক পরিধান কর। কেননা, পোষাকাদির মধ্যে তাই উত্তম পোষাক। আর এতে তোমাদের মৃতদেরকে কাফনও দাও। (আবু দাউদঃ ৩৮৭৮, তিরমিয়ীঃ ৯৯৪, ইবনে মাজাহঃ ১৪৭২) সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা জামায় বোতাম লাগিয়ে নাও এমন কি কাঁটা দিয়ে হলেও।