আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে
ঈমানদারগণ ! তোমরা যা কর না তা তোমরা
কেন বল? তোমরা যা কর না তোমাদের তা
বলা আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই অসন্তোষজনক।
(সুরা সফঃ ২/৩)
আল্লাহর নামে ও কোরআন ছুয়ে কসম করেছিলেন যে,
জীবনে আর হস্তমৈথুন, পর্নো ভিডিও দেখবেন না। তবে আজকে
অনেক হট ভিডিও দেখছেন
এতে কসম ভঙ্গ হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের অর্থহীন
শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে
পাকড়াও করবেন না, কিন্তু বুঝে সুঝে যে
সব শপথ তোমরা কর তার জন্য
তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন।
এ পাকড়াও থেকে অব্যাহতির কাফফারা হলোঃ
দশ জন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাদ্যদান যা
তোমরা তোমাদের স্ত্রী পরিবারকে
খাইয়ে থাক, অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান অথবা
একজন ক্রীতদাস মুক্তকরণ। আর এগুলো
করার যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন
রোযা পালন। এগুলো হল তোমাদের
শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ কর।
তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করবে।
আল্লাহ তার আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য
বিষদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা
শোকর আদায় কর। (সুরা মায়েদাঃ ৮৯)
যেনে রাখা ভাল যে
শপথ তিন প্রকার।
১. ﻟﻐﻮ (অনর্থক) এমন শপথকে বলে যা মানুষ
কথায় কথায় ইচ্ছা, উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন
ছাড়াই ব্যবহার করে।যেমন হ্যাঁ, আল্লাহর
কসম। না, আল্লাহর কসম ইত্যাদি। এ শপথের
কোন কাফফারা বা পাকড়াও নেই।
২. ﻏﻤﻮﺱ (মিথ্যা শপথ) অতীতকালের কোন
বিষয়ে জেনে বুঝে মিথ্যা শপথ করা।
যেমন কোন কাজ করেছে, মিথ্যা শপথ
করে বলল করিনি। অনুরূপ কোন কাজ
করেনি, মিথ্যা শপথ করে বলল করেছি। এ
প্রকার শপথ এতই মারাত্মক যে, দুনিয়াতে এর
কোন কাফফারা নেই। এটা কবীরা গুনাহ যা
তাওবাহ ব্যতীত ক্ষমা হবে না।
৩. ﻣﻨﻌﻘﺪﺓ ঐ শপথকে বলে যা মানুষ
ইচ্ছাকৃতভাবে এবং নিয়্যতসহ ভবিষ্যতে কোন
কিছু করা বা না করার ব্যাপারে শপথ করে।
কেউ এ ধরণের শপথ করে ভঙ্গ করলে
তার কাফফারা হলোঃ
১. দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য
খাওয়ানো যা নিজেরা খায়। অথবা প্রত্যেক
মিসকিনকে অর্ধ সা করে খাদ্য প্রদান করবে।
আমাদের দেশের ওজন অনুপাতে প্রায়
সোয়া এক কেজি। (তাফসীর মুয়াসসার।)
২. অথবা দশজন দরিদ্রকে পোশাক প্রদান
করা, যা দ্বারা সালাত আদায় করা যেতে পারে।
কোন কোন আলিম খাদ্য ও পোশাক
সমাজের প্রচলিত নিয়ম নীতিকে
অনুসরণীয় মনে করেন।
৩. অথবা একজন দাস বা দাসী আযাদ করা। ইমাম
শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ আয়াতটি ব্যাপক। তাই
দাস, মুমিন হোক বা কাফির যেকোন একটি
আযাদ করলেই হবে। (তাফসীর ফাতহুল
কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
৪. উল্লিখিত তিনটির যে কোন একটি পালনে
অক্ষম হলে তাকে তিন দিন সওম বা রোযা
পালন করতে হবে। তিনদিন ধারাবাহিকভাবে, না
ভেঙ্গে ভেঙ্গে সওম রাখবে তা নিয়ে
মতানৈক্য পাওয়া যায়। সঠিক কথা হলো উভয়
অবস্থাই বৈধ। (আয়সারুত তাফাসীর, ১/৫৬৪)