উত্তর দেওয়া আগে প্রাসঙ্গিক একটা গল্প বলি কিছু মনে করবেন না,এক সাধু বাবার কাছে এক মেয়ে জিজ্ঞাস করতেছে -প্রাপ্ত বয়স্ক দুজন ছেলেমেয়ে যদি এক সাথে ঘুমায় তাহলে কি গুনাহ হবে? সাধু উত্তরে কয়, বাছা আসলে ঘুমাইলে তো গুনাহ হবে না কিন্তু তরা তো ঘুমাস না। ঠিক তেমনি ১৬বছরের ছেলেকে মুখ দেখানো তো খারাপ না তবে উদ্দেশ্যর কারণে খারাপ হয়ে যায় ।যেমনটা, পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীর মুখ দেখা জায়েজ । এখানে উদ্দেশ্যটাই মূল বিষয়...... ..।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ তাহলে পর্দা ভঙ্গ হবে এবং গুনাহ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মেয়েদের শারীরিক গঠনে পরিবর্তন দেখা দিলে অর্থাৎ সাবালিকা হলেই তার উপর পর্দা ফরয হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তোমাদের শিশুরা যখন বয়োঃপ্রাপ্ত হবে তখন তারা যেন তোমাদের নিকট আসতে অনুমতি নেয়, যেমন তাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনুমতি নেয়। এভাবে আল্লাহ তার নির্দেশ খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই হিকমতওয়ালা। (আন-নুরঃ ৫৯) জনাব! একজন ১৫ বছরের মেয়ে যদি ১৬ বছরের ছেলেকে তার মুখ দেখায় তাহলে পর্দা ভঙ্গ করা হয়। মেয়েদের জন্য মাহরাম নয়, এমন পুরুষের প্রতি দেখা সর্বাবস্থায় হারাম। কামভাব সহকারে বদ নিয়তে দেখুক! অথবা এ ছাড়াই দেখুক। (ইবন কাসীর) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (আন-নুরঃ ৩১) জারীর বিন আবদুল্লাহ আল বাজালী (রাঃ) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন আমি যেন আমার দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নেই। (সহীহ মুসলিমঃ ২১৫৯) এমনকি এ দৃষ্টিপাত হতে বাঁচতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদেরকে রাস্তায় বসা থেকেও নিষেধ করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলী (রাঃ) কে বললেনঃ একবার দৃষ্টি চলে গেলে পুনরায় দৃষ্টিপাত করবে না, কারণ প্রথমবার দৃষ্টিপাত ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার দৃষ্টি তোমার নয় 'শয়তানের পক্ষ থেকে হয় সেজন্য তোমাকে পাকড়াও করা হবে'। (তিরমিযীঃ ২৭৭৭, আবূ দাঊদঃ ২১৪৯, হাসান) [আয়াতে পর্দার বিধানের কয়েকটি ব্যতিক্রম আলোচনা করা হচ্ছে। প্রথম ব্যতিক্রম হচ্ছে অর্থাৎ নারীর কোন সাজ-সজ্জার অঙ্গ পুরুষের সামনে প্রকাশ করা বৈধ নয়, অবশ্য সেসব অঙ্গ ব্যতীত, যেগুলো আপনা-আপনি প্ৰকাশ হয়ে পড়ে অর্থাৎ কাজকর্ম ও চলাফেরার সময় সেসব অঙ্গ স্বভাবতঃ খুলেই যায়। এগুলো ব্যতিক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো প্ৰকাশ করার মধ্যে কোন গোনাহ নেই।]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ