আমার স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ৩-৪ দিন ধরে খুব চুলকানি হচ্ছে। ভিতরে সাদা এক ধরনের পর্দা পড়েছে, হাত দিয়ে খুচে আনা যাচ্ছে, তুলে দিলে একটু ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ভিতরেও আছে। চুলকাতে চুলকাতে অনেক ব্যাথা হয়ে গেছে, এখন হাত দিলেও অনেক ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। 

২০ দিন মাসিক বন্ধ আছে, প্রেগনেন্ট না। ৩বার টেস্ট করেছি।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

সাদা স্রাব সাধারণত মেয়েদের যোনিপথ পরিষ্কার রাখার কাজ করে। খেয়াল রাখুন এটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী কিনা। তবে অনেক সময় স্বাভাবিক ভাবেই বেশী বেশী সাদা স্রাব যেতে পারে। যেমন- বয়সন্ধিরসময়, ovulation এরসময়, যৌন উত্তেজনার সময়, প্রেগন্যান্সির সময়, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে, ইত্যাদি। আবার অনেক সময় যোনি মুখ বা যোনি পথের কোন সুপ্ত রোগ থাকলে ও সাদা স্রাবের পরিমান বেড়ে যেতে পারে। এর সাথে যদি যোনিপথে চুলকানি, জ্বালাপোড়া থাকে, দুর্গন্ধ থাকে, থকথকে ঘন স্রাব হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার কোন ইনফেকশান হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে দেখা করে anti fungal ঔষধ খেতে হবে এবং মলম লাগাতে হবে। সাদা স্রাব যদি আপনার কাছে সমস্যা মনে হয়, তাহলে প্রথমেই কাজ হবে আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখা এবং নিজের স্বাস্থ্য ভালো করা। প্রতিবার প্রস্রাব করার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে.   ব্যবহার করা পায়জামা ও অন্যান্য কাপড় সবসময় পরিষ্কার করে ধুয়ে ভালো মত রোদে শুকাতে হবে. এবং যদি উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো বুঝতে পারেন, তাহলে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন সমস্যাটি নিয়ে। পরীক্ষা করে সঠিক কারন বের করে এর চিকিৎসা করা হয়।তাই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

এটি যৌনাঙ্গের চুলকানি    ছত্রাকের কারণে   চুলকানি হয়। এই ছত্রাক নরমালি মেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবী হিসেবে থাকে।  ফলে  প্রচুর চুলকানি ও সাথে ব্যথা করে।তবে এর জন্য যা করবেন।

  • রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
  • ২. ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না।
  • ৩. ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন।  
  • ৪. আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। আর প্রসাব বা পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।

  •  সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন। সিনথেটিক পেন্টি পরবেন না।
  • ওজন কমান।
  • .সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন। 
  •   যোনি আর্দ্র ও ভেজা রাখবেন না।
  • মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করুন।
  •  সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন।  বা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
  • ১২. সহবাসের পর প্রসাব করুন।
  • ১৩ একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করুন।
  • ১৪ নিয়মিত গোসল করুন।

এই   সমস্যার জন্য অবশ্যই  একজন    গাইনি   বিশেষজ্ঞের কাছে যান। অবহেলা করবেন না । কারণ এর ফলে পরবর্তীতে আরও খারাপ কিছু হতে পারে।

এছাড়াও ইনফেকশন এর কারনেও মাসিক পিছিয়ে যেতে পারে তাই তাড়াতাড়ি একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ