গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত। ১. গড়গড়া কুলি করা। ২. নাকে পানি দেওয়া। ৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা। গোসলের সুন্নাত আমলগুলো হলো- ১.আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করার নিয়ত করা। ২. ফরজ কাজগুলোর মাঝে ক্রম বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। ৩. ওজু করা। ৪. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া। ৫.শরীরে কোনো নাপাকি থাকলে তা দুর করা। ৬. মেছওয়াক করা। ৭. সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা। গোসলের মুস্তাহাবসমূহ হলো- ১. উচু স্থানে বসে গোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে। ২. পানির অপচয় না করা। ৩. বসে বসে গোসল করা। ৪. লোক সমাগমের স্থানে গোসল না করা। ৫. পাক জায়গায় গোসল করা। ৬.ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
প্রথমে আপনি মনে মনে এই গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করবেন।তারপর দুই হাত কবজি পর্যন্ত তিনবার ধুবেন।তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং যেখানে যেখানে বীর্য লেগেছে সেখানে পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।বাম হাতটি ভালভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।তারপর নামাযের ওযূর ন্যায় ওযূ করবেন।ওযূর আগে 'বিসমিল্লাহ' বলে নিতে পারেন।আপনি পা এর মধ্যে ধুতে পারেন আবার পরেও ধুতে পারেন।তারপর তিনবার মগে পানি ঢেলে মাথা ধুবেন যেন চুল পরিষ্কার হয়ে যায় এবং একটি চুলও শুষ্ক না থাকে।তারপর শরীরের ডান কাঁধ থেকে নিচে তিনবার এবং বাম কাঁধ থেকে নিচে তিনবার মগ দিয়ে পানি ঢালবেন।এভাবে সমস্ত শরীরে যেখানে পানি পৌঁঁছায়নি সেখানে পানি ঢালবেন।আপনি ওযূর মাঝখানে যদি পা না ধৌন তাহলে আপনাকে পা ধুঁতে হবে।এটাই ফরয গোসলের নিয়ম।আমাদের মহানবী এভাবেই ফরয গোসল করতেন।