উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হলেই গোসল করা আবশ্যক। তাই হস্তমৈথুন দ্বারা উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হলে, অবশ্যই গোসল করে নামায পড়তে হবে। শুধু অজু করার দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হবে না।
দলীলঃ
إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ
তথা পানি [বের হবার দ্বারা] পানি {শরীরে ঢালা তথা গোসল] আবশ্যক হয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৪৩}
উত্তেজনাবশত বীর্যপাত ঘটলে অবশ্যই গোসল ফরয হয়ে যায়।আপনি হস্তমৈথুন করার পর আপনাকে অবশ্যই ফরয গোসল করতে হবে আর নাহলে নামায,রোযা কোনটাই কবুল হবে না।কিন্তু পায়খানা-প্রস্রাব করার সময় উত্তেজনা ছাড়া বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হয় না।এরপর আপনি শুধু ওযূ করে নামায আদায় করতে পারবেন।কিন্তু স্বপ্নদোষ হলে উত্তেজনা থাকুক বা না থাকুক বীর্যপাত ঘটলেই গোসল ফরয হয়ে যাবে।
হস্তমৈথুন করার পর যদি বীর্যপাত ঘটানো হয়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফরজ গোসল আদায় করতে হবে। আর তা না হলে শুধুমাত্র ওযু করে নামায আদায় করা যাবে। যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ ১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে। ২. সহবাসে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)। ৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে। ৪. ইসলাম গ্রহন করলে (নব-মুসলিম হলে)। ফরজ গোসল (বাধ্যতামূলক)। ইসলামের পরিভাষায়, গোসল হল সমস্ত দেহ ধৌত করার মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। কথিপয় ধর্মীয় উপাসনা এবং আচার-আনুষ্ঠান পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে গোসল। সকল প্রাপ্তবয়স্ক মোসলমান নর-নারীর যৌনসঙ্গম , যৌনস্থলন (যেমন : বির্যপাত), রজস্রাবঃ সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) হয়।
বীর্যপাতের ফলে গোসল ওয়াজিব হয়। হস্থমৈথুন করার পর গোসল না করলে শরীর নাপাক থাকে। আর এক্ষেত্রে শুধু অযু করে নামাজ আদায় করা যাবে না। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বীর্যরস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেনঃ বীর্যরস বের হলে অযু করতে হবে এবং বীর্যপাত হলে গোসল করতে হবে। রেফারেন্সঃ সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৪, সূনান নাসাঈ হাদিস নম্বরঃ ১৯৩ !!! সকল বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই মত যে, বীর্যরস বের হলে অযু এবং বীর্যপাত হলে গোসল করতে হবে।