RushaIslam

Call

আমরা জানি কম্পিউটারের প্রাণ হলো এর সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সংক্ষেপে সিপিইউ। আর “কোর – Core” হলো আলাদা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট যা মেইন সিপিইউ এর অংশ হলেও আলাদা ভাবে একই কাজ করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডুয়েল কোর চিপ। এটি দেখতে একটি একক সিপিইউ চিপ মনে হলেও এর মাঝে দুটি আলাদা ফিজিক্যাল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট আছে। এর মানে হলো একের ভেতর দুইটি সিপিইউ। প্রসেসরের একটি কোরের অতিরিক্ত যে কোরগুলো থাকবে সেগুলো মূলত মাল্টি টাস্কিং এ কাজ করে থাকে। আপনার যদি একটি সিঙ্গেল কোর পিসি থাকে এবং এটাকে যদি আপনি ডুয়েল কোরে আপগ্রেড করেন তাহলে বুঝতে পারবেন পিসি লক্ষ্যনীয় মাত্রায় দ্রুতগতির হয়ে গেছে। কীভাবে সেটা হচ্ছে চলুন ব্যাখ্যা করা যাক। ধরুন আপনি কম্পিউটারে গান শুনছেন এবং একই সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন। যদি আপনার পিসিতে একটিমাত্র প্রসেসর কোর থাকে তাহলে ইন্টারনেট ব্রাউজার আনরেসপন্সিভ হয়ে যাবে। কারন মিউজিক প্লে করার জন্য যখন একটি প্রসেসর কোর ব্যবহৃত হবে তখন যদি ব্রাউজার অন থাকে তাহলে প্রসেসর কোর এর কাজ দুটি অংশে ভাগ হয়ে যাবে এবং তুলনামূলক বড় কাজটি যথেষ্ট রেসপন্স করতে পারবে না। এক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক কোর থাকলে কাজগুলো যথেষ্ট দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে। তবে কম্পিউটারের একাধিক কাজ করছেন কি করছেন না সেটা বড় কথা না কারন কম্পিউটারের নিজস্ব ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সব সময় প্রসেসরকে ব্যস্ত রাখে। সে ক্ষেত্রে একাধিক কোর না থাকলে কম্পিউটার কখনোই স্মুথলি কাজ করতে পারবে না। আপনারা জানেন কিনা জানিনা, গুগল ক্রোম ব্রাউজার একেকটা ওয়েব সাইটের জন্য আলাদা আলাদা কোর ব্যবহার করে। তাই কম্পিউটারের প্রসেসরের কোর কম হলে এবং গুগল ক্রোমে মাল্টিপল ট্যাব ওপেন থাকলে ব্রাউজার হ্যাং হয়ে যায়। **প্রসেসর কোর এর প্রকারভেদ: ডুয়েল কোর – দুটি প্রসেসর ইউনিট কোয়াড কোর - চারটি প্রসেসর ইউনিট হেক্সা কোর - ছয়টি প্রসেসর ইউনিট অক্টা কোর – আটটি প্রসেসর ইউনিট ডেকা কোর – দশটি প্রসেসর ইউনিট ইত্যাদি। **প্রসেসর কোর কন্ট্রোল এবং মনিটর সিস্টেম: আপনার কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম কয়টা কোর ব্যবহার করছে কিংবা কয়টা কোর সচল এবং কয়টা কোর স্থির অবস্থায় আছে সেগুলো খুব সহজেই মনিটর এবং কন্ট্রোল করতে পারবেন। আমি আগে উদাহরণ হিসাবে বলেছিলাম যে গুগল ক্রোম একাধিক কোর ব্যবহার করবে যদি একাধিক ট্যাব ওপেন রাখা হয়। আপনারা চাইলে এটা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করতে পারেন। যাহোক, কম্পিউটার টাস্ক ম্যানেজার থেকে প্রসেস ট্যাবে ক্লিক করলে খুব সহজেই কোন প্রোগ্রাম কোন প্রসেসর কোর ব্যবহার করছে সেটা দেখা যাবে। তাছাড়াও যেকোন প্রোগ্রামের উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে অ্যাফিনিটি অপশন থেকে প্রসেসরের সবগুলো কোর দেখতে পারবেন। এছাড়াও আপনার কম্পিউটার এর সামগ্রিক কাজের জন্য কোন কোর এবং র‍্যাম কতোটুকু পরিমাণ ব্যবহৃত হচ্ছে এটা খুব সহজেই নিচের চিত্রের মতো টাস্ক ম্যানেজারের পারফোরমেন্স মনিটর থেকে দেখে নিতে পারবেন। আপনার পিসির কোর যদি কম হয়ে থাকে উপরের চিত্রে সেট অ্যাফিনিটি অপশন থেকে কোর সংখ্যা লিমিটেড করে দিতে পারেন। তাহলে একটি প্রোগ্রাম অন্য প্রোগ্রামের পারফোরমেন্সে বাঁধা দিতে পারবে না। সূত্র:আহসান ইরেশ,কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (ব্যবস্থাপক :আই.ডি.বি)

Talk Doctor Online in Bissoy App