আমার বাবা মা একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি রেজাস্ট্রেশন করে রেখেছেন, পূর্ন সম্মমিতে। কিন্তু আমি যেহেতু, চাকরি করি না, তাই তারা ধর্মিয় ভাবে দেন নাই। যাতে এখন কেরিয়ার ঠিক করতে পারি। এখন যদি আমরা যদি মেলামেশা করি, বা গোপনে বিয়ে করি, যাতে মেলামেশা করতে পারি। এটাকি উচিত হবে? অথবা মেলামেশা করার পর পরিবার থেকে ধর্মিয় ভাবে পরে যেকোনো সময় বিয়ে দিলে কি তা ভূল হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিয়ের রেজিস্ট্রেশনকে কাবিন বলা হয়। তবে এই কাবিন কিন্তু বিয়ের কোনো অংশ নয়। কাবিন ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে শুদ্ধ হবে, দাম্পত্য জীবন হালাল হবে। কাবিন হলো প্রচলিত আইন অনুসারে বিয়ের একটা নিবন্ধন মাত্র। বিয়ের আগে মেলামেশা তথা যিনা করা হারাম। এটা জঘন্য অপরাধ এর শাস্তি দুনিয়া এবং আখেরাতে অনেক ভয়াবহ। উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার নিকট হতে তোমরা জেনে নাও। তাদের 'যিনাকারীদের' জন্য আল্লাহ তাআলা একটি রাস্তা 'ব্যবস্থা' করে দিয়েছেন। বিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীলোক পরস্পর যিনা করলে তাদের প্রত্যেককে একশত ঘা চাবুক মারতে হবে, তারপর পাথর মেরে হত্যা করতে হবে। অবিবাহিত পুরুষ বা স্ত্রীলোক যিনা করলে তাদের প্রত্যেককে একশত ঘা চাবুক মারতে হবে এবং এক বছরের নির্বাসনে পাঠাতে হবে। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৪ হাদিসের মানঃ সহিহ) তবে গোপনে বিয়ে করতে চাইছেন? এটা মোটেই উচিত হবেনা। আগেও বলা হয়েছে বিয়ের পূর্বে কোন যুবক যুবতীর যিনা তথা প্রেম ভালবাসা করা হারাম। অতঃপর আপোষে মেলামেশা ও ব্যাভিচার করা তো কবীরা গোনাহর পর্যায়ভুক্ত। অতঃপর যে মা বাবা কতো মায়া মমতার সাথে মানুষ করে, সেই মা বাপের ফেলে পালিয়ে গিয়ে লাভ ম্যারেজ বা কোর্ট ম্যারেজ করে! কিন্তু সে বিয়েতে মেয়ের বাপ রাজী না থাকলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। যেহেতু রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৩১৩১) এদের দাম্পত্য, চির ব্যভিচার হয়। যেহেতু তাদের বিবাহ শুদ্ধ নয়। অথবা মেলামেশা করার পর পরিবার থেকে ধর্মিয় ভাবে পরে যেকোনো সময় বিয়ে দিলে কি তা ভূল হবে? জনাব! এমন ভূলের পথে কেন পা বাড়াবেন। যদি এমন ভূল করেই ফেলেন এক্ষেত্রে মেলামেশা করার পর পরিবার থেকে ধর্মিয় ভাবে পরে যেকোনো সময় বিয়ে দিলে তা ভূল হবেনা। তবে উক্ত পাপের জন্য তওবা করা ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যিনাকার পুরূষ কেবল যিনাকারিণী স্ত্রীলোককে বিবাহ করবে। মুসাদ্দা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যিনাকার পুরুষ, যিনাকারিণী স্ত্রীলোক ব্যতীত অন্যকে বিবাহ করবে না। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ২০৪৭ এবং ৪৮)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ