অনেক কিছুই নাপাক আছে, এই নাপাক এর পরুমান কতটুকু?? নাপাক হয় কতটুক হলে?? এমন নয় তো? যে, এতটুক পরিমানের চেয়ে কম হলে নাপাক হবে না?? না যেতুটুক লাগে এতেই নাপাক হয়ে জাবে??


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ALADINrand1

Call

নাপাকী যত কম লাগুক না কেন তাতেই নাপাক হবে। নাপাক এর পরিমান কম বা বেশি নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নাপাকী কম হোক বা বেশী হোক তা কোন কিছুতে লাগলে বা পরলে সেই জায়গা নাপাক হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পেশাবের ছিটা হতে বেঁচে থাক। কেননা অধিকাংশ কবরের আজাব হবে পেশাবের ছিটার জন্য। কেবলমাত্র পেশাবের অতি ক্ষুদ্র ফোঁটা যা চোখে দেখা যায় না তার কারনে শরীর বা কাপড় নাপাক হয় না৷ নাপাক কিছু দেখা না গেলে তা নাপাক না এটাই ফতোয়া। তবে নাপাকী দেখা বা জানা না গেলেও ধুয়ে নেয়া উচিত। নাজাসাতে গলীজার মধ্যে যেমন রক্ত পেশাব ইত্যাদি তা এক দিরহাম পর্যন্ত শরীর বা কাপড়ে লাগলে সম্যসা নাই। তবে বিনা কারনে এতটুকুও পরিস্কার না করা মাকরুহ। আর এক দিরহাম পরিমানের চেয়ে বেশী হলে তা পরিস্কার ব্যতীত নামাজ পড়া জায়েয নয়। কাপড়ে কতটুকু পরিমাণ রক্ত লাগলে তা ধৌত করার পূর্বে সেই কাপড়ে সালাত আদায় করা যাবে কি যাবে না সে সম্পর্কে আলিমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তাবেঈনদের কতেক আলিমের অভিমত হলোঃ এক দিরহাম পরিমাণ রক্ত হলে তা ধৌত না করে যদি কেউ সেই কাপড়ে সালাত আদায় করে তবে তা পুনরায় আদায় করতে হবে। অপর একদল বলেন রক্তের পরিমাণ যদি এক দিরহামের অতিরিক্ত হয় তবে সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। এই মত হচ্ছে সুফইয়ান সাওরী ইমাম আবূ হানীফা এবং ইবনে মুবারকের। তাবেঈ ও পরবর্তী যুগের ফকীহ আলিমদের কেউ কেউ রক্তের পরিমাণ এক দিরহামের চেয়ে বেশি হলেও সালাত পুনরায় আদায় করাতে হবে বলে অভিমত পোষণ করেন না। ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত এই। ইমাম শাফেঈ এই বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বলেন, রক্তের পরিমাণ এক দিরহাম থেকে কম হলেও তা ধৌত করা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ