আল্লাহ তায়ালা যে প্রতিবন্ধী মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তাদের মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধী অছে, তাদের মধ্যে ইসলামিক বিষয়ে কোনো আমল বা সামান্যখানি ধারণাও নেই। তারা বোঝেও না যে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে?

তারা যখন মারা যাবে, তখন কাল হাশরের ময়দানে তাদের বিচার কিভাবে নেওয়া হবে?

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আল্লাহ তায়ালা প্রতিবন্ধী মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তাদের মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধীও অছে, তাদের মধ্যে ইসলামিক বিষয়ে কোনো আমল বা সামান্যখানি ধারণাও নেই। তারা বোঝেও না যে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে? তারা যখন মারা যাবে, তখন কাল হাশরের ময়দানে তাদের বিচার কার্যকর হবে। কেবল মাত্র হিতাহীত জ্ঞানশুণ্য ব্যক্তিই রেহাই পাবে। কেননা দুনিয়াতে পাগলের উপর নামায রোযা হজ্জ যাকাত ফরয নয়। কারণ, তার উপর থেকে কলম তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাগল যদি এমন হয় যে, ক্ষণে পাগল ক্ষণে ভালো, তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য ভালো থাকা অবস্থায় গুনাহ করলে তা ধর্তব্য। আর পাগল থাকা অবস্থায় তা ধর্তব্য নয়। আল্লাহ তাআলা মানুষের উপর আবশ্যক করেছেন যাবতীয় ইবাদত বাস্তবায়ন করা- যদি তার মধ্যে সে যোগ্যতা ও ক্ষমতা থাকে। যেমন সে বিবেক সম্পন্ন হবে। সবকিছু বুঝতে পারবে। কিন্তু যে লোক বিবেকশুণ্য, সে শরীয়তের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে বাধ্য নয়। এ কারণে পাগল, শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক-বালিকার উপর কোন বাধ্যবাধকতাও নেই। এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত। পাগল যার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে এরকম হিতাহীত জ্ঞানশুণ্য ব্যক্তির উপর সালাত সিয়াম আবশ্যক নয়। কেননা সে তো স্মৃতি শক্তিহীন মানুষ। সে ঐ শিশুর মত যার মধ্যে ভাল-মন্দ পার্থক্য করার ক্ষমতা নেই। সুতরাং সমস্ত বিধি-বিধান তার উপর থেকে রহিত, কোন কিছুই তার উপর আবশ্যক নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ প্রত্যেক মানুষের ভালমন্দ কাজের আমলনামা আমি তার গলায় ঝুলিয়ে দিবো এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য বের করবো একটি কিতাব, যাকে সে খোলা আকারে পাবে। বলা হবেঃ পড়ো নিজের আমলনামা নিজেই। আজ নিজের হিসাব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ১৩-১৪) আল্লাহ তাআলা বলেন, পড়ো নিজের আমলনামা নিজেই। অর্থাৎ দুনিয়াতে যে পড়তে পারতো এবং যে পারতোনা উভয়কেই আমি উহা পাঠ করার আগে বলবোঃ তোমার নিজের আমলনামা তুমি নিজেই পড়ো। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ অতঃপর যার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তার কাছ থেকে হালকা হিসাব নেয়া হবে এবং সে হাসিমুখে নিজের লোকজনের কাছে ফিরে যাবে। (সূরা ইনশিকাকঃ ৭-৯) মুমিনদের মধ্যে এমন বহু সংখ্যক থাকবে, যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যেমন সত্তর হাজারের হাদীছে এসেছে যে, তারা বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। হিসাব হবে বিভিন্ন রকম। কারো হিসাব হবে একদম সহজ। আর এটি হলো কেবল আমলগুলো পেশ করা। আরেক প্রকার হিসাব হবে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে তার নামায। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি নামায পণ্ড ও খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএবঃ পাগলের উপর দুনিয়েতে নামায অন্যান্য ইবাদত মাফ হওয়ায় তারা পরকালেও মাফ পাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ