সাইন্স ভুত, পেত্ব, বিশ্বাস করে না। কেননা- সাইন্স গবেষণা করে যা পায় সেটাকেই বিশ্বাস করে। সাইন্স গবেষণা করে দেখেছে- ভুত বলতে কিছু নেই। এটা মানুষের মনের ভুল। মানুষ যখন ভয় পায় তখন সে মনে মনে যা ভাবে সেটা দেখে। যেমন- সে মনে করে তার সামনে বড় বড় দাঁত ওয়ালা ভুত তার সামনে আসছে। তখন সে ভয়ের বসে সেটাই দেখে। এক কথায় সাইন্স বলে এটা মনের ভুল। ভুত পেত্ব বলতে কিছু হয় না।
বিজ্ঞান হচ্ছে গবেষণালব্ধ, শৃংখলাবদ্ধ ও সুসংবদ্ধ বিশেষ জ্ঞান। জ্বীন ও জ্বীনের আচরণকেই মানুষ ভূত ও ভূতের আচরণ বলে মনে করে। প্রেত বলতে পিশাচ, দেও, দানবকে বুঝায়। আত্মা বলতে জীবদেহের চৈতন্যময় সত্তা বা রূহকে বুঝায়। শয়তান হচ্ছে পাপকর্মের প্রেরণাদাতা। পরী বলতে জ্বীনের স্ত্রীলিঙ্গ অতি নিঁখুত সুন্দরী রমণীকে বুঝায়। ইসলামে মানুষ, আত্মা (রূহ), জ্বীন ও শয়তানের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিজ্ঞান মানুষে বিশ্বাস করে, কারণ মানুষ দৃশ্যমান বা মানুষকে চোখে দেখা যায়। কিন্তু বিজ্ঞান আত্মা (রূহ), জ্বীন ও শয়তানে বিশ্বাস করে না, কারণ এগুলো অদৃশ্যমান বা চোখে দেখা যায় না। ইসলাম বলে, মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে তার দেহ থেকে আত্মা (রূহ) বেরিয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, আমি জ্বীন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি (পবিত্র কুরআন)। ইসলাম বলে, শয়তান মানুষকে সকল পাপ কাজের কুমন্ত্রণা দেয়। মানুষ, আত্মা (রূহ), জ্বীন ও শয়তান হচ্ছে ধর্মীয় বিষয় আর বিজ্ঞান গবেষণার বিষয়। বিজ্ঞান চোখে দেখে বা গবেষণালবদ্ধ প্রমাণে বিশ্বাসী। তাই ইসলাম আত্মা (রূহ), জ্বীন ও শয়তানে বিশ্বাস করলেও বিজ্ঞান তা বিশ্বাস করে না। স্রষ্টাকে তো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু প্রকৃতিকে চোখে দেখা যায়। তাই বিজ্ঞান স্রষ্টায়ও বিশ্বাসী নয়, কিন্তু প্রকৃতিতে বিশ্বাসী। ধন্যবাদ।