শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ‍্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম (সূরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ১৯)। অর্থাৎ আল্লাহ শুধুমাত্র ইসলামকেই ধর্ম হিসেবে মনোনীত, নির্বাচিত বা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যেহেতু সকল নবী-রাসূলকেই আল্লাহ দুনিয়াতে তাঁর একমাত্র দ্বীন কায়েমের জন‍্য পাঠিয়েছেন, সেহেতু সকল নবী-রাসূলগণই জীবনের শুরু ও শেষে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ হলেন ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। মহান আল্লাহ হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-এর মাধ‍্যমে দুনিয়াতে প্রথম ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করেন। যেহেতু হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) সর্বপ্রথম আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলাম প্রচার শুরু করেন, সেহেতু তাঁরাই হলেন ইসলাম ধর্মের প্রথম প্রচারক বা প্রবর্তক। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) হলেন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ প্রবর্তক। কেননা, আল্লাহ তাঁর এই নবী ও রাসূলটির মাধ‍্যমে সমগ্র বিশ্বে নতুন করে তাঁর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামকে কায়েম করেছেন এবং জীবনবিধান হিসেবে কুরআন ও হাদীসকে মানবজাতির জন‍্য মনোনীত করেছেন, যা কোনোদিনও বিকৃত হবে না, আজীবন অক্ষত থাকবে। হযরত আদম (আঃ), হযরত নূহ (আঃ), হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত ইসমাঈল (আঃ), হযরত দাঊদ (আঃ), হযরত মূসা (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ) ও সর্বশেষ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সহ সকল নবী ও রাসূলগণই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামের প্রচারক ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত‍্য এই যে, হযরত মূসা (আঃ)-এর উম্মতরা তাঁর ইন্তেকালের পরে তাঁদের ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থকে বিকৃত করে ইহুদি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনুরূপ, হযরত ঈসা (আঃ)-এর উম্মতরা তাঁর চলে যাওয়ার পরে (আল্লাহ তাঁকে মৃত‍্যু ব‍্যতীত আকাশে তুলে নেন, কিয়ামতের পূর্বে মোহাম্মদ সাঃ এর উম্মত হিসেবে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠাবেন ও মৃত‍্যু দান করবেন) তাঁদের ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থকে বিকৃত করে খ্রিস্টান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনুরূপ, মানবজাতির একটি অংশ তাঁদের একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহর পূজা বাদ দিয়ে তাঁর সৃষ্টির পূজা শুরু করে এবং তারাও তাদের ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থকে বিকৃত করে বৌদ্ধ ও হিন্দু জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যায় পৃথিবীতে বহু ধর্মের উদ্ভব। স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া, তাঁর দেওয়া বিধানকে ভুলে যাওয়া, তাঁর পাঠানো নবী-রাসূলদের অনুসরণ না করা, স্রষ্টার জায়গায় সৃষ্টিকে বসানো বা সৃষ্টির পূজা করা (স্রষ্টা থেকে সৃষ্টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া), আখিরাতকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ার প্রতি অত‍্যধিক আকর্ষণ আর আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন ইসলাম থেকে সরে গিয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করার কারণে বহু ধর্মের উদ্ভব হয়েছে, হচ্ছে, হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আইয়্যামে জাহেলিয়াত এর যুগে আরবের কিছু লোক ইয়াহূদী বা খৃষ্টান ধর্ম বা অগ্নি পুজকদের ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আবার স্বল্প সংখ্যক লোক ছিল যারা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর প্রদর্শিত পথে ছিল অবিচল এবং আঁকড়ে ধরেছিল তার আদর্শ। আর সেই ধর্মের অনুসারীই ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি ছিলেন তৎকালীন আরবের বহুল মর্যাদাপূর্ণ কুরাইশ বংশের একজন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে তার বিশেষ গুণের কারণে আল-আমীন বা বিশ্বস্ত উপাধিতে ভূষিত হন। স্রষ্টার নিকট হতে নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে ইসলাম ধর্ম এর দিকে দাওয়াত দেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ প্রেরিত নবী-পরম্পরার শেষ নবী যিনি আদম (আঃ) ইবরাহিম (আঃ) ও অন্যান্য নবীদের প্রচারিত একেশ্বরবাদী ধর্মেরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন। এবং সেই ধর্ম মতেই ইবাদত করতেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আমি ইতোপূর্বে ইবরাহীমকে সৎপথের জ্ঞান দান করেছি। (আম্বিয়াঃ ৫১ সংক্ষিপ্ত) অতঃপর আমি আপনার কাছে একনিষ্ঠ মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ করার প্রত্যাদেশ করেছি। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (আন-নাহলঃ ১২৩) যদিও রেফারেন্স দুইটি নবুওয়াত প্রাপ্তির পরের। তবে এটাই প্রতীয়মান যে তিনি কখনো মুর্তি পুজা করতেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ