হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জিব্রাইল (আঃ) কে চারবার আসল আকৃতিতে দেখেছেন। কয়বার দেখেছেন। এই বিষয়টি ঐতিহাসিকদের নিকটে মতানৈক্য রয়েছে। নির্ভরযোগ্য মত হলো উল্লেখিত প্রথম ও দ্বিতীয়বারের ঘটনা। প্রথমবার তিনি যখন হেরা গুহায় অবস্থান করছিলেন, তিনি হযরত জিবরাঈল ( আঃ) তাঁর আসল আকৃতি দেখানোর অনুরোধ করেন। হুযুরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর আসল আকৃতি ধারণ করে দেখান। দ্বিতীয়বার মেরাজ শরীফের ঘটনায় তাাঁকে আসল আকৃতিতে দেখেছেন অর্থ্যা “সিদরাতুল মুনতাহা ” নামক সেই উর্ধ্ব জগতে। তৃতীয়বার মক্কায়“ আজয়াদ নামক স্থানে দেখেছেন। এই ঘটনা নবুয়াত প্রাপ্তির নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত হয়েছিল। চতুর্থবার হুযুরের শ্রদ্বেয় চাচা হযরত আবু হামযা (রাযিঃ) যখন অনুরোধ করেছিলেন যে, আমি হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে তাঁর আসল আকৃতি সহকারে দেখতে চাই। তখন প্রথম, হুযুর (সাঃ) তাঁকে নিষেধ করলেন যে, আপনি তাঁকে দেখতে পারবেন না। কিন্তু তিনি আবারো আরয করলেন যে, আপনি অনুগ্রহ করে দেখিয়ে দিন। তখন হুযুর (সাঃ) বললেনঃ আপনি বসুন। হযরত হামযা (রাযিঃ) তাঁর পাশে বসে গেলেন। এ সময়ে হযরত জিবরাঈল (আঃ) অবতরণ করেন। হুযুর (সাঃ) হযরত হামযা (রাযি) কে বললেন ঐ যে চেয়ে দেখুন। তিনি দৃষ্টি উঠিয়ে দেখলেন। হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর দেহ সবুজাভ পাথরের ন্যায় চমকাচ্ছিল। হযরত হামযা (রাযি) এই উজ্জল্য সহ্য করতে না পেরে বেঁহুশ হয়ে পড়ে গেলেন।