শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জজঃ

  1. জজ বা বিচারক দ্বারা বিচার বিভাগে আইন প্রয়োগকারী এবং আদালতের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বোঝায়। 
  2. তিনি গুরুতর এবং জটিল মামলা সমাধান করেন।
  3. ওনার আইনগত ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে বেশি।
  4. একজন জজকে রাষ্ট্রপতি এবং গভর্নর নিয়োগ দেন।
  5. জজ হবার জন্য Legal Qualification অর্থাৎ Bar Council Certified হওয়া আবশ্যক। তাদেরকে ২ বার Bar Council পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথমবার Advocate হবার জন্য দ্বিতীয় বার জজ হবার জন্য। 
  6. একজন জজ কাউকে যাবত জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারেন।  



ম্যাজিস্ট্রেটঃ

  1. ম্যাজিস্ট্রেট একজন স্থানীয় জুডিশিয়াল অফিসারকে নির্দেশ দেন, যিনি আইন প্রয়োগ করার জন্য নিযুক্ত হন। 
  2. তিনি স্থানীয় ও ছোটখাট মামলার সমাধান করেন।
  3. ওনার আইনগত ক্ষমতা একজন জজের থেকে কম।
  4. একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সরকার নিয়োগ দেন ।
  5. তাদের কোনো Legal Qualification অর্থাৎ Bar Council Certified হতে হয় না। অবশ্য হলেও সমস্যা নেই।
  6. একজন ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে যাবত জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারেননা।  

ব্যারিস্টারঃ
  1. একজন ব্যারিস্টার কে L.L.B পাস করতে হয়, এবং  Bar Council Certified হতে হয়।
  2. একজন ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য ৯ মাসের একটি বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স (বিপিটিসি) করতে হয়।
  3. বাংলাদেশের আইনজীবীদের বলা হয় অ্যাডভোকেট। আমেরিকাতে আইনজীবীকে বলা হয় অ্যাটর্নি। তেমনি করে অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীকে বলা হয় ব্যারিস্টার। 

আপনার সুবিধার জন্য আরো একটু তথ্য দিচ্ছিঃ 
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আইন পেশা দুই ভাগে বিভক্তঃ 
  1. সলিসিটর 
  2. ব্যারিস্টার। 
ব্যারিস্টারঃ যারা কোর্টে প্র্যাকটিস করবে, রেটিগেশন করবে তথা কোর্ট বিষয়ক পরামর্শ দেবে তারা ব্যারিস্টার। 
সলিসিটরঃ  যারা কোর্ট ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় আইনি বিষয়ে পরামর্শ দেবে তারা সলিসিটর। এদেরকে Legal Advisor ও বলা হয়। তবে দু’জনই যোগ্যতায় সমানে সমান।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ