ওযু করার সঠিক নিয়ম হলোঃ
লক্ষ্যণীয়ঃ হাতে নাপাকী থাকলে যে কোন উপায়ে প্রথমে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
মাথা মাসেহের নিয়মঃ বৃদ্ধ ও তর্জনী আঙ্গুলদ্বয় ব্যতীত অবশিষ্ট উভয় হাতের আঙ্গুলের পেট মাথার মধ্যে ভাগে সামনে হতে পিছন দিকে টেনে নিয়ে আসতে হবে। অতঃপর দুই হাতের তালু মাথার দুই পাশে রেখে পেছন দিক থেকে সামনে টেনে নিয়ে আসতে হবে।
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও; এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। (মায়েদাঃ ৬ সংক্ষিপ্ত) আয়াতে ওযূর ছয়টি ফরয উল্লেখ করা হয়েছেঃ ১. সমস্ত মুখমণ্ডল ধৌত করা। ২. উভয় হাত কুনই পর্যন্ত ধৌত করা। ৩. সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা। ৪. উভয় পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধৌত করা। এছাড়াও দুটি ফরয রয়েছেঃ ৫. ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং ৬. একটি অঙ্গ ধৌত করার পর দ্বিতীয় অঙ্গ ধৌত করতে দেরি না করা এবং এক অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা। এসব হল ওযূর ফরয। অসংখ্য সহীহ হাদীসে ওযূর পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওযূ কেমন ছিল অথবা তিনি যেভাবে ওযূ করতেন। আবু হাইআ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে ওযূ করতে দেখেছি। তিনি উভয় হাতের কজি পর্যন্ত ধুলেন এবং ভাল ভাবে পরিষ্কার করলেন। তিনবার কুলি করলেন, তিনবার নাকে পানি দিলেন, তিনবার মুখমণ্ডল ধুলেন, তিনবার করে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন, একবার মাথা মাসেহ করলেন এবং উভয় পা গোছা পর্যন্ত ধুলেন। এরপর তিনি দাড়ালেন এবং ওযূর অবশিষ্ট পানি তুলে নিয়ে তা দাড়ানো অবস্থায় পান করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওযু কিরূপ ছিল তা তোমাদের দেখানোর জন্যই আমি এরূপ করা পছন্দ করলাম। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৮ হাদিসের মানঃ সহিহ) জনাব! এটাই ওযূ করার সঠিক নিয়ম।