ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা দিতে হয়না।শরীয়তের এর কোন নিয়ম নেই।তবে ওয়াদা ভঙ্গ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। কারণ, হাদিসে মুনাফিক দের একটি নিদর্শন হিসেবে ওয়াদা ভঙ্গ করাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে।এতদা সত্বেও আপনার এ ওয়াদা ভবিষ্যতে গোনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া বুঝায়;যা তাওবার অংশ। কারণ,তাওবা পূর্ণ হয় তিনটি কাজের মাধ্যমে; তন্মধ্যে একটি, ভবিষ্যতে সেই কাজ পুনরায় না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।(এখানে যান।) আর তাওবার মধ্যে অটল না থাকতে পারলে পুনরায় তাওবা করতে হয়।তাই আপনি পুনরায় তাওবা করুন!ইস্তেগফার করুন!এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বাণী এভাবে বর্ণনা করেছেন;আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি, এক বান্দা গুনাহ্ করল। বর্ণনাকারী أَصَابَ ذَنْبًا না বলে কখনো أَذْنَبَ ذَنْبًا বলেছেন। তারপর সে বলল, হে আমার রবব! আমি তো গুনাহ্ করে ফেলেছি। বর্ণনাকারী أَذْنَبْتُ -এর স্থলে কখনো أَصَبْتُ বলেছেন। তাই আমার গুনাহ্ ক্ষমা করে দাও। তার প্রতিপালক বললেনঃ আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার রয়েছে একজন রবব যিনি গুনাহ্ ক্ষমা করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। আমার বান্দাকে আমি মাফ করে দিলাম। তারপর সে আল্লাহর ইচ্ছে অনুযায়ী কিছুকাল অবস্থান করল এবং সে আবার গুনাহ্তে জড়িয়ে গেল। বর্ণনাকারীর সন্দেহ أَصَابَ ذَنْبًا কিংবা أَذْنَبَ ذَنْبًا বলা হয়েছে। বান্দা আবার বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আবার গুনাহ্ করে বসেছি। এখানে أَصَبْتُ কিংবা أَذْنَبْتُ বলা হয়েছে। আমার এ গুনাহ্ তুমি মাফ করে দাও। তখন আল্লাহ্ বললেনঃ আমার বান্দা কি জেনেছে যে, তার আছে একজন রবব যিনি গুনাহ্ ক্ষমা করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। এরপর সে বান্দা আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী কিছুকাল সে অবস্থায় থাকল। আবারও সে গুনাহ্তে জড়িয়ে গেল। এখানে أَصَابَ ذَنْبًا কিংবা أَذْنَبَ ذَنْبًا বলা হয়েছে। সে বলল, হে আমার রবব! আমি তো আরো একটি গুনাহ্ করে ফেলেছি। এখানে أَصَبْتُ কিংবা أَذْنَبْتُ বলা হয়েছে। আমার এ গুনাহ্ মাফ করে দাও। তখন আল্লাহ্ বললেনঃ আমার বান্দা কি জেনেছে যে, তার একজন রবব আছেন, যিনি গুনাহ্ মাফ করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। আমি আমার এ বান্দাকে মাফ করে দিলাম। এরকম তিনবার বললেন।সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৫০৭ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস