এ বিষয়ে ইসলামিক বা গ্রহণযোগ‍্য ব‍্যাখ‍্যা কী?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
LEGEND

Call

ধর্ষন ও জ্বিনার মধ্য পার্থক্য এই যে একটি জোর পুর্বক অন্যটি ইচ্ছা করে পরক্রিয়ায় লিপ্ত কাজ,কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে উভয় কাজই কবিরা গোনাহের কাজ,এবং আখিরাতেে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে উক্ত খারাপ কাজের জন্য।



স্বামী এবং স্ত্রীর সহবাসে ইসলামিক শরিয়তের ভিত্তিতে বলা হলোঃ-    ১. সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন (স্ত্রী সহবাসের দোয়া)। তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন। তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন। ২. সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করবে না। তার সাথে মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীরও তাই করা উচিৎ। ৩. স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস। ৪. রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস করবে না। ৫. ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না। ৬. রবিবারে সহবাস করবেন না। ৭. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ৮. স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় বা উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেন না। ৯. বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করবেন না। ১০. জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ১১. উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না। স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ১২. পূর্ব-পশ্চিমদিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ১৩. বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। ১৪. স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়। ১৫. সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না এবং নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস কবেন না। উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না। 


আশাকরি উত্তর পেয়েছেন।


ধন্যবাদ!!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ