ইসলামী শরীয়াহ্-তে Masterbation বা হস্তমৈথুন জায়েজ নয়। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া। এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।" (সূরা মু'মিনুন, আয়াত নং ৫-৬)।
'স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য সবার থেকে লজ্জাস্থান হেফাযত করা’ উল্লেখ করার মাধ্যমে স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কেউ হারাম হওয়ার ব্যাপারে উপরোক্ত আয়াতটি সুস্পষ্ট। এরপরও আয়াতটিকে তাগিদ করতে গিয়ে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, “যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” সুতরাং স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করা বৈধ হবে না, এক্ষেত্রে হস্তমৈথুনও বৈধ হবে না।
এ সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, হাদীসটি হল- "আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ)-এর সাথে আমরা এমন কিছু যুবকরা ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বললেন, হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।" (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৬৬)।
জনাব!, উক্ত কুরআনের আয়াত এবং হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী বলা যায়, হস্তমৈথুন ইসলামে পরিপূর্ণ না জায়েজ কর্মকান্ড। তাছাড়াও, হস্তমৈথুন করলে অনেক শুক্রানুর ক্ষতি হয়, এর কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি দিতে হবে। কেননা, তিনি পবিত্র কুরআনে বলেছেন, স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোথাও লিঙ্গ ব্যবহার করা ব্যক্তিরা সীমালঙ্ঘনকারী।
মহান আল্লাহ মানব জাতির কল্যাণের জন্যেই