জুনুবী বলা হয় এমন অবস্থাকে যে অবস্থায় পতিত হলে কারো উপর গোসল ফরয হয়। কিংবা তার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে হয়।আমার জানা মতে জু্নুবী অবস্থায় থাকা মাকরূহ তবে সহবাস করা মাকরূহ এমন কথা ইসলামে যতদূর সম্ভব নেই। তবে যদি জুনুবী বলতে হায়েয নিফাস বোঝান তবে এমন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। -সূরা বাকারা: আয়াত- ২২২
"জুনুব" (جُنُب) শব্দটির কুরআনে উল্লেখিত মূল শব্দ হচ্ছে, 'জুনুবান'। এটির অর্থ হলো, দূর হয়ে যাওয়া বা অপবিত্র শরীরবিশিষ্ট। এ থেকে 'আজনবী' (অপরিচিত) শব্দটি বের হয়েছে। পরিভাষায় 'জুনুব' বা 'জানাবাত' অর্থ হচ্ছে, যৌন প্রয়োজন পূর্ণ করার এবং স্বপ্নের মধ্যে বীর্যপাত হবার ফলে যে নাজাসাত বা নাপাকী সৃষ্টি হয়। কারণ এর ফলে মানুষ তাহারাত বা পবিত্রতা শূন্য হয়ে পড়ে। এর পরে সহবাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। 'জুনুব' বলতে বোঝায়, মেয়েদের অসুস্থতার সময়কে। পবিত্র কুরআনে এসময়ে স্ত্রী-এর সাথে সহবাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, "আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে, বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন...।" (সুরা বাকারা, আয়াত নং ২২২)।