ইসলামের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের মাধ্যাম হলো কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস। এই চারটি মাধ্যম হয়ে কোন বিষয়ে বিধান আরোপ হয়। এরেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র হাদীসের বিধান অনুযায়ী পায়ূ পথে স্ত্রী সম্ভোগ হারাম। হাদীস বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]
আপনি ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন। বর্তমানে এটির জন্য অনেক মানুষই বিভ্রান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। ইসলামী শরীয়াহ্ মলদ্বারে বা পায়ু পথে সঙ্গম করা হারাম করে দিয়েছে। যেহেতু এই কর্মটি মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যে সুন্দর স্বাভাবিক নিয়মে সৃষ্টি করেছেন তার বিপরীত পন্থা। অতঃপর, এই কুকর্মটি হলো অনেক রোগের কষ্টদায়ক উপাদান। আর এর চেয়ে বড় কথা হলো এই যে, এই কুকর্মটি হলো মহান আল্লাহর ঘৃণা, শাস্তি, ক্রোধ এবং অভিশাপ লাভের উপকরণ।
এ সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, "হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নাবী করীম (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নাবী কারীম (সঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে বা পায়ু পথে সঙ্গম করবে, মহান আল্লাহ তার দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। (সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 1923)।
জনাব!, উক্ত হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী বলা যায়, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে বা পায়ু পথে সঙ্গম করবে, সে ব্যক্তি মহা পাপাচারী বলে পরিগণিত হবে। এবং সে তার নিজের জীবনকে মহান আল্লাহর মহা ক্রোধে নিক্ষেপ করবে। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির জন্য এই বিষয়টি বৈধ যে, সে তার স্ত্রীর যোনিতেই সঙ্গম করবে তার সামনের দিক থেকে অথবা তার পিছন দিক থেকে। কিন্তু তার মলদ্বার বা পায়ু পথ সঙ্গম করার স্থান নয়। তাই, তাঁর প্রতি এই মহাপাপ থেকে অনুতপ্ত হয়ে আন্তরিকভাবে তওবা করা অপরিহার্য।
আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
إذا استحلت أمتي خمسا فعليهم الدمار: إذا ظهر التلاعن وشربوا الخمور ولبسوا الحرير واتخذوا القيان واكتفى الرجال بالرجال والنساء بالنساء، رواه البيهقي-
‘যখন আমার উম্মত পাঁচটি বিষয়কে হালাল করে নেবে, তখন তাদের উপর ধ্বংস নেমে আসবে। (১) যখন পরস্পরে অভিসম্পাৎ ব্যাপক হবে (২) যখন তারা মদ্যপান করবে (৩) রেশমের কাপড় পরিধান করবে (৪) গায়িকা-নর্তকী গ্রহণ করবে (৫) পুরুষ-পুরুষে ও নারী-নারীতে সমকামিতা করবে’।[11]