বারমুডা ট্রায়াঙ্গল(Barmuda Triangle)আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।এখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে,যা জানলে একজন মানুষকে শিহরিত হতে হয়।বিগত ৬০ বছর ধরে এটি পৃথিবীর মানুষের কাছে এক রহস্যের নাম।এই স্থানে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কাজ করে না।আবার,এখানে পানি ঢাললে পানি গড়িয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে।অথচ,পানির ধর্মই হলো গড়িয়ে নিচের দিকে নামা।আর আরও অদ্ভুত ঘটনা হলো,কোনো কারণ ছাড়া এখানে আগুনের ধোঁয়া পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উপরে উঠতে থাকে।
১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল টাইটানিক জাহাজ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কাছে এই আটলান্টিকেই ডুবেছিল।
রহস্যময় দ্বীপ বারমুডা আবিষ্কার করেন ব্রিটেনের বিখ্যাত নাবিক "জুয়ান ডি বার্মুডেজ" ১৫১৫ সালে।কিন্তু তখন এই দ্বীপটি ছিল নাবিকদের জন্য এক আশার আলো।চারদিকে মহাসাগর মাঝে এক চিলতে মাটি।
রাণী এলিজাবেথের যুগে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর মানুষ এখানে বিশ্রাম নিত।তখন থেকেই শুরু হয় এই জায়গার তান্ডব।তখন এমন ঘটনা ঘটতো যে,দুজন নাবিক খাবার আনতে বা ঘুরতে গেছে,তাদের আর খোঁজ পাওয়া যেত না।
কিছু ঘটনা নিম্নরূপ:
এইরকম বহু জাহাজ ও বিমান এসে এখানে হারিয়ে যায়,যার কোনো খোঁজ আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।
কেউ কেউ বলে ভিনগ্রহের প্রাণীরা এই জায়গাকে নিয়ন্ত্রণ করে।কেউ বলে এখানে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে।
যারা ফ্লাইং সসার মতবাদে বিশ্বাসী তাদের যুক্তি হলো,এটা ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর কাজ।তারা পৃথিবীর মানুষের তৈরি যানগুলো নিজেদের গ্রহে নিয়ে যায়।হয়তো পৃথিবীর যান্ত্রিক ও মানবিক সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে তারা এসব নিজেদের মিউজিয়াম বা জাদুঘরের শোকেসে তুলে রাখে।এজন্য,তারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল জায়গাটিকে বেছে নিয়েছে।
আধুনিক বিশ্বে টেলিভিশন,ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে যত আলোচনা হচ্ছে,রহস্য তত জমাট বাঁধছে।কেউ কেউ "কিছুই না" বলে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলেও রহস্য কমছে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন এইসব ঘটনা ঘটছে চৌম্বকীয় শক্তির কারণে,তবে তারা এটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না।আমরা আশা করব এ রহস্যের সঠিক সমাধান একদিন হবে।