লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ হল মহিমান্বিত রাত বা শ্রেষ্ঠ রাত। লাইলাতুল কদর এর গুরুত্ব বা মাহাত্ম্য হলো এটি রমযান মাসের এমন একটি রাত যেটি বছরের অন্যান্য রাতের চেয়ে অনেক অনেক উত্তম এবং এটাই সেই রাত, যে রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিলো। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে, আমি এই কুরআনকে নাযিল করেছি শবে- কদরের রাতে। আপনি কি জানেন শবে- কদর কি? শবে-কদর হল হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (আল-কদর আয়াতঃ ১-৩) কুরআনে আল্লাহ আরো বলেছেন, আমি এ কুরআনকে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, আমি সতর্ককারী। এই রাত হলো সেই ভাগ্য রাত যাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরিকৃত হয়। (আদ-দুখান আয়াতঃ ৩-৪)
‘লাইলাতুল কদর’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো—ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাত্রিকে লাইলাতুল কদর হিসেবে নামকরণ করার কারণ হলো, এ রজনীর মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মদীর সম্মান বৃদ্ধি করা হয়েছে বা এ রাতে মানবজাতির তাকদির পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এই রজনী অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত। আল্লাহ তাআলা যে মহিমাময় রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন, যে একটি মাত্র রজনীর ইবাদত-বন্দেগিতে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, (কারন একদিনের বোধোদয়/জ্ঞান হাজার মাস অজ্ঞ বা নিরক্ষর থাকা হতে উত্তম)এই একটি রাতেই আপনার মন থেকে সব শংকা প্রশ্ন দুর হয়ে যেতে পারে যদি আপনি কোরআন বুঝে পড়েন , এবং এই রাতের জন্যই হয়তো আপনি আগামী দিনে সঠিক পথে চলবেন তাই এই এক রাতই হতে পারে আপনার জীবনে হাজারো না জানা, না মানা, না চেস্টা করা রাতের সমান